বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি,
নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ রেহানা হল। আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর থেকে হলের ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই খাবার পানি, ওয়াশরুমের পানি নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়। হলের বি-ব্লকের একপাশে ওয়াশরুমে সবসময়ই পানি থাকে না।
এদিকে ট্যাংক থেকে অবিরত পানি নিচে পড়ে অপচয় হতে থাকে। অনেক ওয়াশরুমে লাইট নেই, ট্যাপ নষ্ট, কাপড় রাখার স্ট্যান্ড নেই। শিক্ষার্থীরা রাতের অন্ধকারে লাইট ছাড়াই ওয়াশরুমে যেতে হয়। হলের বিভিন্ন প্রোগ্রামগুলোও শৃঙ্খলার সাথে হয় না। এ সকল বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা বারবার অবগত করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় নি। এমনকি কিছু অফিস সহকারীরা শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “হলে পানি, ওয়াশরুম নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। গত রমাদানেও প্রায় ১০-১২ দিন খাবার পানি ছিলো না। অফিসে বারবার অবগত করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। অনেকবার বলার পর হয়তো দুয়েকটা কাজ করে দেয়া হয়। দায়িত্বশীলদের কাজের এত উদাসীনতা থাকলে কিভাবে একটা হল চলতে পারে?
অই শিক্ষার্থী আরও বলেন, পাশের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের তো এরকম সমস্যা ফেইস করতে হচ্ছে না। তাহলে আমাদের বেলায় প্রহসন কেন? আমি অনুরোধ জানাই কর্তৃপক্ষ যেন অতিদ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করেন।
আবাসিক অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, পড়াশোনার পরিবেশ পাওয়ার উদ্দেশ্যেই হলে আসা। কিন্তু এখানে প্রতিনিয়ত সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। এগুলো দেখার কি কেউই নেই? হল কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের সমস্যাগুলোর দিকে ভ্রুক্ষেপ না করেন তাহলে আমরা কার কাছে যাবো?
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট শামসুন্নাহার পপি বলেন, “পানির সমস্যার কথা আমরা অফিসে জানিয়েছি। হলের কন্সট্রাকশন কাজ সম্পূর্ণ করে না দিলে তো আমাদের জন্যে সমস্যা। ৪ তলা থেকে ৬ তলায় কাজ চলার কারনে পানির পাইপ এখানে একদিন নষ্ট হয়, অন্যজায়গায় ফেটে যায় এসব কারনেই সমস্যা হচ্ছে।”
ডাইনিং বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “ডাইনিং এর সমস্যাটা হচ্ছে মেয়েদের যতটুকু খরচ বহন করতে হবে, তারা তা করতে চায় না। আর আমাদের তো সেন্ট্রাল থেকে ভূর্তকি আসেনা।”