সিপন রানা নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মো. লুৎফর রহমান (৩৩) নামের এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ২ জন। রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে সহবতপুর বাজারে হতাহতের এ ঘ,টনাটি ঘটে। নিহত প্রবাসী লুৎফর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের সহবতপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলীর ছেলে। আহত ২ জন হলেন ওই ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ দেওয়ানের ছেলে আব্দুল মতিন (২৫) ও মো. আজম মিয়ার ছেলে আব্দুল বাতেন (৪০)। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এঘটনায় পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হচ্ছে সহবতপুর ইউনিয়নের লালটু মিয়ার ছেলে মো. যুবায়ের (২৮) ও বদ্দু মিয়ার ছেলে মো. আকাশ (২১)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন।
স্থানীয়, পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সহবতপুর ইউনিয়নের শালিয়ারা গ্রামের ময়নাল সিকদার কাঠ ব্যবসায়ী বাকাইয়ের কাছে একটি আম গাছ বিক্রি করেন। রোববার সকালে বাকাই তিন জন গাছ কাটার লেবার (গাইছা) কে গাছ কাটতে পাঠান। গাছ কাটার সময় ঘরের চালের উপর ডাল যেন না পড়ে এ নিয়ে লেবারদের গাছ কাটতে বাঁধা দেয় ময়নালের ছেলে নজরুল। এ নিয়ে লেবারদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নজরুল ও তার ছোট ভাই রুবেল একজনকে মারধর করে ও অপর জনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ খরব পেয়ে কাঠ ব্যবসায়ী বাকাই এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তাদের কে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পরে ওই দিন সন্ধায় লেবার করিমের ভাতিজা বাতেন লুৎফর ও মতিনকে সাথে নিয়ে নজরুলের বাবা ময়নালের সাথে কথা বলার জন্য সহবতপুর বাজারে যায়। ময়নালের সাথে কথা বলার সময় নজরুলের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি দল দেশীয় ধারালো অস্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে তাদের উপর হামলা করে। মুমুর্ষ অবস্থায় আহত লুৎফর কে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডা. নয়ন মন্ডল তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর আহত বাতেন ও মতিনকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে মতিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, গাছ কাটা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের মিমাংসার উদ্দেশ্যে বাতেন, লুৎফর ও মতিন সহবতপুর বাজারে ময়নালের কাছে যায়। এসময় ময়নালের ছেলে নজরুল দলবল নিয়ে তাদের উপর হামলা করলে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নয়ন মন্ডল জানান, নিহত লুৎফরের বুকের বা পাশে ছুড়িকাঘাতের কারনে হার্টে ইনজুরি হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।