ভিকটিম ১৬ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে। ছোটবেলায় বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ায় থাকেন নানার বাড়িতে। মায়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় মা থাকেন ঢাকায়। মায়ের অসুস্হতার কথা শুনে মাকে দেখার জন্য ২৬/০৪/২৪ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা অনুমান ৬.০০ ঘটিকার দিকে নওগাঁ থেকে ঢাকার বাসে রওনা করে রাত্রি অনুমান ৮.৪৫ ঘটিকার সময় ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে। এসময় তার স্বামী মোবাইল করে বাড়িতে ফিরে যেতে বলে। মেয়েটি বাস থেকে নেমে অপরিচিত জায়গায় কি করবে ভাবতে থাকে। এসময় অজ্ঞাতনামা একটি ছেলে বয়স অনুমান ২১ বছর সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসে। একপর্যায়ে রাত হয়েছে মর্মে তার সাথে বাড়িতে যেতে বলে এবং তার মায়ের সাথে মোবাইলে কথা বলিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি ছেলেটির কথায় বিশ্বাস করে সিএনজি যোগে রওনা করে একই তারিখ রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় শাজাহানপুর থানাধীন খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের বড়চান্দাই গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় সিএনজি থেকে নেমে কিছুদুর হেটে যাওয়ার এক পর্যায়ে জোর পুর্বক উক্ত আসামি বড় চান্দাই গ্রামের মাঠের মধ্যে ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্হানীয় লোকজন থানায় জানালে থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ প্রেক্ষিতে শাজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজুর পর বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ স্নিগ্ধ আখতার, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ শরাফত ইসলাম ও শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম এর সার্বিক তত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মোঃ রেজাউল করিম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ঘটনা সংগঠনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গাবতলী থানাধীন বাগবাড়ি এলাকা থেকে আসামি মোঃ রাকিব হাসান (২১) পিতা মোঃ জহুরুল ইসলাম সাং দড়িনন্দগ্রাম থানা শাজাহানপুর বর্তমান সাং বাগবাড়ি থানা গাবতলী জেলা বগুড়াকে গ্রেফতার করে।
আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।