
কুষ্টিয়ায় নীলনক্সা অনুমোদন ব্যতীত ইমারত নির্মাণের অভিযোগ
কুষ্টিয়া পৌরসভা বড়ো বাজার এলাকায় নীলনক্সা অনুমোদন ব্যতিত রমেশ নাথ চ্যাটার্জী নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।রমেশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষ জগৎ।উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পৌরসভা ভবন নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তা অমান্য করেই চলছে ওই ভবন নির্মাণ কাজ।
কিশোর কুমার ঘোষ জগৎ জানান,কুষ্টিয়া পৌরসভার বড়ো বাজার এলাকায় অবৈধভাবে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে সেটি পর্যবেক্ষণে যায়। সেখানে দেখতে পারি বিধি মোতাবেক জায়গা না ছেড়ে অবৈধভাবে ইমারত নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আমি কুষ্টিয়া পৌরসভায় একটি অভিযোগ করি।আমার অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্ত করে পৌরসভা ওই অবৈধ ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধের লিখিত নির্দেশ দেন।কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সেই ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়নি।এখনো ভবন নির্মাণ কাজ চলছেই।
পৌরসভার নোটিশ সূত্রে জানা যায়,রমেশ নাথ চ্যাটার্জী পৌরসভার অর্ডিন্যান্স ২০০৯ সালের ৩৫ ও ৩৬ ধারা লঙ্ঘন করে নিজ হোল্ডিং এ নীলনকশা অনুমোদন ব্যতীত বিধি মোতাবেক জায়গা না ছেড়ে অবৈধভাবে ইমারত নির্মাণের কাজ করছেন।যা পৌর আইনের পরিপন্থী।পত্র পাওয়ার সাত (০৭) দিনের মধ্যে অতিরিক্ত দখল নিজ খরচে ভেঙে পৌরসভা হতে নীলনকশা অনুমোদন অস্তে অনুমোদিত নীলনকশার শর্ত মোতাবেক নির্মাণ কাজ করার জন্য বলা হয়। অন্যথায় তাঁর অবৈধভাবে নির্মাণকৃত ইমারতটি পৌরসভার লোকবল দ্বারা ভেঙে দেওয়া হবে এবং ভাঙার সমুদয় খরচ তাঁর নিকট থেকে আদায় করা হবে।গত ১২ জুলাই এই নোটিশ পাওয়ার পরেও ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ বা অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গা ছাড়ার কোনো পদক্ষেপই নেয়নি রমেশ নাথ চ্যাটার্জী।বরং এই নোটিশের কোনরূপ তোয়াক্কা না করে নির্বঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন ভবন নির্মাণ কাজ।
এবিষয়ে ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষ জগৎ জানান,আমার ওয়ার্ডে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে দেখতে যায়। গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পৌরসভায় অভিযোগ করি।অভিযোগ সাপেক্ষে পৌরসভা অবৈধ দখলকৃত জায়গা ছাড়ার এবং নির্মাণ কাজ বন্ধের নোটিশ দেয়।কিন্তু সেই নোটিশের কোনরূপ তোয়াক্কা না করে রমেশ ভবন নির্মাণ কাজ করেই যাচ্ছে।
এই ব্যাপারে রমেশ চ্যাটার্জীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নোটিশের পর পৌরসভায় গিয়ে আমার কাগজপত্র দেখানো হয়েছে। পৌরসভা সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে মৌখিকভাবে কাজের অনুমতি দিয়েছে।
তবে পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান বলেছেন এই বিষয়ে কোন সুরহা হয়নি । মেয়র মহোদয় সুস্থ্য হয়ে অফিস করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।