প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন। তারপর কৌশলে নিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি। তারপর ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নেন আরও টাকা। প্রবাসীর স্ত্রীরাই টার্গেট নুরুল ইসলামের (৪০)।
নুরুলের টার্গেট প্রবাসীর স্ত্রী, হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৬
নুরুলের টার্গেট প্রবাসীর স্ত্রী, হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা
প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন। তারপর কৌশলে নিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি। তারপর ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নেন আরও টাকা। প্রবাসীর স্ত্রীরাই টার্গেট নুরুল ইসলামের (৪০)।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
জানা যায়, নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে। তার শ্বশুরবাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। ভুক্তভোগী আমেরিকা প্রবাসীর স্ত্রী কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা। মোবাইল ঠিক করাতে গিয়ে নুরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি নিজেকে মোবাইলের মেকানিক দাবি করেন। তারপর কৌশলে মোবাইল থেকে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত ছবি নিজের মুঠোফোনে নিয়ে নেন। তারপর মুঠোফোন নম্বর নিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেন। ব্যক্তিগত ছবি আছে বলে ব্ল্যাকমেইল করে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ভুক্তভোগীকে ফের অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন এবং টাকা দাবি করেন। দাবি পূরণ না করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তার ভাইকে নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদারকি করতে বলেন। তারপর ২৫ এপ্রিল ভোর রাতে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা শাখা। এ সময় তার মোবাইল থেকে ভুক্তভোগী নারী ছাড়াও আরও অনেক প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) নুরুল ইসলামকে তার কোম্পানীগঞ্জের শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করেছে। তার মোবাইলে একাধিক প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও পাওয়া গেছে। তার স্বভাবই হলো ব্ল্যাকমেইল করা। সে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। আমরা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করব। তারপর তদন্তে উঠে আসবে সে কতজনের সাথে এমন প্রতারণা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জুস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।