র্যাব-১২, সদর কোম্পানির অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানা এলাকা হতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন বিপিএম, পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় অদ্য ২১ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ রাত্রি আনুমানিক ০৪.১০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২’র সদর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন একডালা এলাকায়” একটি অভিযান পরিচালনা করে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রাসেল (২৫), পিতা- মোঃ আঃ মান্নান@ বাশি, সাং-সাকমাল, থানা- তাড়াশ, জেলা- সিরাজগঞ্জকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার মামলা নং-১২, তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি., ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, গত ১৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ ধৃত আসামি মোঃ রাসেল (২৫) ভিকটিমের নিজ বাড়িতে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার ভিকটিমকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জ এ চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ কামরুজ্জামান (২৪), পিতা- মোঃ আঃ মোমিন, সাং-সাকমাল, থানা- তাড়াশ, জেলা- সিরাজগঞ্জ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিকে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।