ভিক্টর বিশ্বাস চিতা স্টাফ রিপোর্টার
এমন একজন মানুষ যিনি কিনা বিনা স্বার্থে সারাটা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। বলছি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর এর কথা। খোকসার সিরাজপুর হাওর এখন মৃত নদী হিসাবেই পরিচিত সকলের কাছে। যেই নদীতে আগে লঞ্চ, নৌকা চলতো, যেই নদীতে আগে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো মাছ ধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো, সেই নদী এখন মরুভূমি। নদীটা জীবন্ত করার জন্য, কৃষকরা যাতে পানির অভাবে না মরে সেই জন্য, জনগণের দাবি ওখানে স্লুইচ গেট নয়, ব্রিজ দরকার।
নাড়ির টানে আজ সিরাজপুর হাওর পরিদর্শনে এসেছিলেন বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর। আরো এসেছিলেন এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম। তারা জানিয়েছেন, জনগণের চাওয়া পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এলাকাবাসী কি পারবো তাদের দিয়ে কাজটা করিয়ে নিতে? সন্তান না কাঁদলে কিন্তু নিজের মা-ও দুধ দেয় না। বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টরের মধ্যে আমাদের জন্য আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। তবে আমাদের মধ্যে আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব আছে বলে আমি মনে করি।
আর এজন্যই সুদূর অতীতকাল থেকে আমরা পিছিয়ে পড়া এক জনগোষ্ঠী। এই জনপদে আজ মেধার খড়া। এখানে এখন আর জজ, ব্যারিস্টার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি, সাহিত্যিক তৈরি হয় না।
কথায় আছে, যেখানে গুণের কদর নেই, সেখানে গুণী জন্মায় না। প্রশ্ন রেখে গেলাম, একজন বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টরের মাহাত্ম্য আমরা তার এলাকাবাসী হিসেবে কতটুকু বুঝি?