নিখোঁজ জোনাকি’র মৃতদেহ উদ্ধার, সৎ মা নার্গিস বেগমকে গ্রেফতার করে আলামত উদ্ধার করলো ডিবি পুলিশ।
ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণঃ
জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে ডিবি’র এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ইং ০১/০৪/২০২৪ তারিখে যশোর রেলগেট এলাকা থেকে জোনাকি (৯) নামের শিশু নিখোঁজ হয় এবং ০২/০৪/২০২৪ তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকায় রেলগেট মডেল মসজিদ পুকুরের উত্তর-পশ্চিম কোন থেকে জোনাকি’র মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনা সংক্রান্তে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম নেতৃত্বে এসআই খান মাইদুল, শামীম হোসেন, রিয়েল, আরিফ, রফিকুল ইসলামসহ একটি চৌকশ টিম জোনাকি’র সৎ মা নার্গিস বেগমকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করে তথ্য প্রদান করলে উদ্ধার করা হয় ভিকটিম জোনাকি’র ব্যবহৃত জামা ও সেন্ডেলসহ লাশ গুমের কাজে ব্যবহৃত বালতি। ঘটনা সংক্রান্তে নিহত জোনাকি’র পিতা শাহিন তরফদার বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১২, তাং-০৩/০৪/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৩০২/২০১ পেনাল কোড রুজু হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাদী শাহিন তরফদার আসামী নার্গিস বেগমকে ৩য় বিবাহ করে। এর আগে ১ম স্ত্রী মারা গেলে ভিকটিম জোনাকির মা কোহিনুর বেগমকে ২য় বিবাহ করে। কোহিনুর বেগম বাদিকে তালাক দিয়ে জোনাকিসহ ০৩ মেয়েকে ফেলে বিদেশে চলে যায় এবং অনত্র বিবাহ করে। পরে শাহিন তরফদার আসামী নার্গিস বেগমকে ৩য় বিবাহ করে। কিন্তু বিবাহের সাড়ে তিন বছরে নার্গিস বেগমকে সন্তান না দিতে দেওয়ায় এবং নার্গিসের টাকায় পূর্বের সন্তানদেরকে দেখাশুনা করার ক্ষোভে বশবর্তী হইয়া নার্গিস বেগম ভিকটিম জোনাকিকে নিয়ে এসে সুযোগ বুঝে তার বসতঘরে হত্যা করে লাশ ও আলামত গোপন করে ভিকটিম জোনাকি নিখোঁজ হয়েছে মর্মে প্রচার করে।
আসামীর তথ্যঃ
১। মোছাঃ নার্গিস বেগম (৩৫), পিতা-নুর ইসলাম, মাতা- ছকিনা খাতুন, সাং-রেলগেট পশ্চিমপাড়া, মসজিদপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। ভিকটিম জোনাকি’র মৃতদেহ।
২। ভিকটিম জোনাকির ব্যবহৃত জামা।
৩। ভিকটিম জোনাকির ব্যবহৃত সেন্ডেল।
৪। লাশ গুমের কাজে ব্যবহৃত বালতি।
ধন্যবাদান্তে-
পুলিশ সুপার, যশোর।