স্টাফ রিপোর্টার ঈদগাঁও
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে লোডশেডিং চরম আকারে বৃদ্ধি পেল। এই নিয়ে বিপাকে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল গ্রাহক,প্রতিষ্ঠান ও রোজাদার।
ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধের দাবী এলাকাবাসীর। তথ্য মতে, ঈদগাঁও বাজারসহ উপবাজার সমূহে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দৈনিক বহুবার বৈদ্যুতিক লোডশেডিং চলছে। এ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বাণিজ্য করতে নানাভাবে কষ্ট পাচ্ছে। পাশাপাশি রোজাদারেরা তারাবির নামাজ,ইফতার এবং সেহেরীর সময় বিদ্যুৎ না পেয়ে হতাশ হতে পড়েন।
এদিকে কম্পিউটার, ফটোকপি, প্রিন্টার্স, স-মিলসহ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম শুরু হয়েছে। আবার জন গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, ক্লিনিকে, ল্যাবের ফ্রিজে রক্ষিত নামীদামী ঔষুধপত্র নষ্টের পথে বললেই চলে। ঈদগাঁও উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ীর প্রায় ফ্রিজে রক্ষিত মাছ, মাংস বা তরিতরকারী লোডশেডিংয়ের ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান গৃহবধূরা।
এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে ফ্রিজও নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকাও প্রকাশ করেন তারা। এছাড়াও ঈদগাঁও বাজারে ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে মহাটেনশনে পড়েছে। বিদ্যুতের গ্রাহক আলহাজ্ব আজিজুল হক রানা জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বহুবারের মত লোডশেডিং হয়। এই সমস্যা কদিন ধরে চলছে। তবে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজির কারনে ব্যবসায়ী আর রোজাদারেরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের খপ্পর থেকে কিভাবে বাঁচবো তার উপায় খুঁজছি।
তিনি আরো জানান, একদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ত্রাহি অবস্থা, অন্যদিকে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল। এসব সমস্যা নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে পবিসের অসহায় গ্রাহক সমাজ। এই ব্যাপারে ঈদগাঁও পবিসের নির্ধারিত মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।