র্যাব-৭ চট্টগ্রামের বিশেষ অভিযানে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা হতে অস্ত্র সন্ত্রাসী মোঃ নুরুল আমিন @ বাপ্পু এবং তার এক সহযোগীকে ০১টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আরেফিন নগর এলাকার পাঁকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৯ মার্চ ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ০০০৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। নুরুল আমিন বাপ্পু (২৯), পিতা-নুরুছ ছফা, সাং-পলোয়ান পাড়া, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ জুয়েল মিয়া (২৬), পিতা-আয়না মিয়া, সাং-কুমারদানি, থানা-ছাতক, জেলা-সুনামগঞ্জদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তল্লাশীকালে আসামি নুরুল আমিন বাপ্পু তার কোমড় থেকে নিজ হাতে বের করে দেয়ামতে ০১টি এসবিবিএল বন্দুক উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্র নিজ হেফাজতে রাখার বিষয়ে বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও প্রভাব বিস্তারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আসছিল মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।