কক্সবাজার পৌরসভার ছিনতাই চক্রের মূলহোতা “সালমান ওরফে সালমান শাহ্” কে কক্সবাজার সদর থানাধীন টেকনাইফ্যাপাড়া এলাকা থেকে র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতারসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় কক্সবাজার সদর থানাধীন পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নুরুল আজিম (২৬), পিতা-আবদুল মোতালেব, মাতা-জাহানারা বেগম, সাং-দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া, সমিতির বাজার, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার এবং তার এক বন্ধুসহ নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রুমালিয়ার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে কক্সবাজার পৌরসভার আলোচিত ছিনতাই চক্রের মূলহোতা সালমান শাহ্’সহ আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ছিনতাইকারী দেশীয় ছুরি ও কিরিচ নিয়ে তাদের পথরোধ করে। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ভুক্তভোগীর পকেটে থাকা নগদ ১৫,০০০/- (পনেরো হাজার), ২৩,০০০/- টাকা মূল্যের ০১টি এন্ড্রয়েড ফোন (Redmi Note 13) এবং তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে ৮০০/- টাকা মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন, যার মামলা নং-৭৯/২২৭, তারিখ-২৮/৩/২০২৪ ইং, ধারা-৩৯২ পেনাল কোড-১৮৬০।
কক্সবাজার সদর থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে ছিনতাই চক্রটিকে গ্রেফতারে মাঠে নামে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক টিম। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ অনুমান ৩.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদরের আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অবগত হয়ে কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন পৌরসভা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এবং ভুক্তভোগী নুরুল আজিম কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী ও কক্সবাজার পৌরসভার ছিনতাই চক্রের মূলহোতা “সালমান ওরফে সালমান শাহ্” (২৭), পিতা-খুইল্যা মিয়া, সাং-টেকনাইফ্যা পাহাড়, দক্ষিণ রমালিয়ার ছড়া, ৭ নং ওয়ার্ড, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত সালমান শাহ্ তার নেতৃত্বে ছিনতাই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় রাতের বেলায় শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে অবাধে ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামত স্থানে তথা রাস্তার চিপা গলি ও নির্জন পয়েন্টগুলোতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দ্বারা জনসাধারণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টাকা-পয়সা, মোবাইল, হাতঘড়ি ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই করাসহ নানা প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় বিভিন্ন অপরাধে ০৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত সালমানের দেয়া তথ্যানুযায়ী ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
—-ধন্যবাদ—–