দুর্লভ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় চারটি বন্যপ্রণী (একটি লাম চিতা, একটি গন্ধগোকুল এবং একজোড়া সাদা বক) বেআইনিভাবে শিকার করে আটক রাখা অবস্থায় চকরিয়া থানার সাহারবিল এলাকা থেকে উদ্ধার করে অবমুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব-১৫
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বেআইনিভাবে বন্যপ্রাণী শিকার এবং আটকসহ নানাবিধ অপরাধ রোধকল্পে সার্বক্ষনিক মনিটরিং’সহ প্রয়োজনীয় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
২। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার চাপ, ব্যাপক হারে বন উজাড়, বন্যপ্রাণী শিকার, নদীর নাব্য হ্রাস, ভারসাম্যহীন পরিবেশ, অবহেলা ও অযত্নের কারণেই বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে নানা প্রজাতির প্রাণী। এ অবস্থা চলতে থাকলে একটা সময় জীববৈচিত্র শূন্য হয়ে পড়বে দেশ। এতে দেখা দিতে পারে বিশাল প্রাকৃতিক শূন্যতা। বন্যপ্রাণীবিদ ও গবেষকদের মতে, সংরক্ষণ ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে মোট বনপ্রজাতির ৩০-৪০ শতাংশ আগামী কয়েক বছরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
তাদের মতে, বিদ্যমান পরিবেশের সঙ্গে খাপ খেয়ে যে প্রজাতির বন্যপ্রণী টিকে আছে তারা পরিবর্তিত পরিবেশে বিপন্ন।
অর্ধেক প্রজাতিই এখন কোনো না কোনো ধরনের হুমকির সম্মুখীন।
৩। বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী উদ্ধারে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার কোরালখালি এলাকায় একটি বাড়িতে কবুতরের খাঁচায় দূর্লভ প্রজাতির বিপন্ন প্রায় চারটি বন্যপ্রাণী আটক অবস্থায় রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ সকাল ১১.০৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, বান্দরবান ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক বর্ণিত স্থানে একটি অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনাকালে আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার কোরালখালি এলাকায় উপস্থিত হলে একটি বাড়িতে চারটি বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী (একটি লাম চিতা, একটি গন্ধগোকুল এবং একজোড়া সাদা বক) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
৪। পরবর্তীতে এ সকল বন্যপ্রণীগুলোকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
Post Views: 53