স্বামীর নির্মম নি*র্যাতনের শিকার গৃহবধু তানিয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষ*ত
পটুয়াখালীর কলাপাড়া স্বামীর নির্যাতনে গুরু*তর আহত মোসা. তানিয়া আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূ। তিনি কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় তীব্র ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। তার শরীরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাবার বাড়ি থেকে ধারকরে এনে দেওয়া পাওনা টাকার তাগিদ দিলে স্বামী মো. রুবেল পাহলান’র হাতে নিমর্ম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। এ ঘটনাটি কলাপাড়া পৌর শহরের খাঁন হোটেল সংলগ্ন এক ভারাটে বাসায় ঘটেছে।
নির্যাতিত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের মৃত জহিরুল পাহলানের ছেলে মো. রুবেল পাহলান’র সাথে মোসা. তানিয়া আক্তারের বিবাহ হয়। স্বামী রুবেল পাহলান পেশায় একজন মাইক্র ড্রাইভার। গত আট মাস আগে সড়ক দূর্ঘটনায় গাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার কথা বলে অত্যান্ত সুকৌশলে স্ত্রী তানিয়ার মাধ্যমে শ্বশুর বাড়ি থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এনে খরচ করেন তিনি।
এমন কি স্ত্রীর এক ভরি দুই আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, দুই ভরি ওজনের হাতের রুলি, কানের দুল দশ আনা, আট আনা ওজনের দুইটা আন্টিও নিয়ে সরিয়ে রাখছে। বাবার বাড়ি থেকে এনে ধার দেয়া পাওনা টাকা ও স্বর্ণালংকার চাইলে প্রায় সময় এমন নির্যাতন করেন তার স্বামী রুবেল।
হাসপাতাল বেডে শুয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে আহত তানিয়া আক্তার বলেন, আমার বাবার বাড়ি থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার এনে দিয়েছি সেই টাকা চাইতে গেলে আমাকে প্রায়সময়ই মারধর করে এবং আমার কাছে আরও টাকা দাবী করে। তা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে আমাকে গতকাল ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে বাসার দরজা বন্ধকরে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে। আমার গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা চালায় ও শরিরের বিভিন্ন যায়গায় গ্যাসলাইট দিয়ে পুরে দেয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল পাহলান জানান, মারামারির ঘটনা সত্য। তবে, টাকা ও স্বর্ণালংকারের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে আমার বাচ্চা বাসায় রেখে বিভিন্ন যায়গায় যায়, জিজ্ঞেস করলে আমার সাথে ঝগড়া করে।
কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ পাইনি। তবে, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।