বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নেকে মারধরের ঘটনায় ১৪ জনের নামে মামলা!
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত টিপু সুলতানকে মারধরের ঘটনায় কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে সংশিষ্ট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ছোট বোন রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পুলিশ এজাহার নামীয় তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। মামলার আসামিরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একাধিক মাদক মামলার আসামী রুবেল হোসেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ, মেয়রের ছোট ভাই সোহান বাবু, মেয়রের ভাগ্নে সবুজ হোসেন, ইরফান রাজা রুকু, জাবেদ হোসেন জুয়েল, মুরাদ জোয়ার্দার বাবলু, শিহাব হোসেন, সুমন হোসেন, সাগর হোসেন, কামরান হোসেন, জুয়েল হোসেন ও উজ্জল দাস। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ১০/১৫ জনকে। মামলার এজাহারে বাদী রিজিয়া বেগম উল্লেখ করেছেন, গত ২৫ ডিসেম্বর তার স্বামী মারা যান। চাকরির সুবাদে তারা মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের কলোনীতে থাকেন। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় তার বড় ছেলে টিপু মায়ের সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসেন। শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ আদায় করে কালীগঞ্জ শহরের চায়না বেডিং এন্ড কটন শপে পাপস কিনতে যান। সামনে জায়গা না থাকায় রাস্তার এক পাশে মোটরসাইকেল রেখে দোকানে ঢোকেন টিপু। এ সময় পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে এই মোটরসাইকেল কার জানতে চান। তার বড় ছেলে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বলেন সাইকেলটি আমার। এ সময় মেয়র অকথ্য ভাষায় মা-বাবা তুলে গালিগালজ করতে থাকেন। তখন তার ছেলে মা-বাবা তুলে গালিগালাজ করার প্রতিবাদ করেন। তখনই মেয়র আশরাফুল আলম ও তার সাথে থাকা ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন তার ছেলেকে মারধর শুরু করেন। পরে সেখানে মেয়রের ভাই-ভাগ্নেসহ উক্ত আসামিরা উপস্থিত হয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেন। এ বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম জানান, তিনি যানজট নিরসনে রাস্তায় কাজ করছিলেন। রাস্তার উপর টিপু সুলতানের মটরসাইকেল রাখা ছিল। সরাতে বললে তিনিই প্রথমে দুর্ব্যবহার করেন এবং মাথার হেলমেট দিয়ে মারধর করেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, এ ঘটনায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ছোট বোন রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ পৌর মেয়রের ছোট ভাই সোহান বাবু, শিহাব ও কামরাণ নামে তিনজনেক গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।