কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইট ভাটার জন্য অবাধে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। জমির মালিকের অভিযোগ অনেক সময় জোর করে জমির মালিককে না বলেই প্রভাবশালী এই চক্রটি মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে যা পুকুর বানিয়ে জমির ক্ষতিসাধন করেছে। অন্যের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করলে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তি মালিককে না জানিয়ে জোর করে মাটি কেটে নিয়ে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়। মাটি কেটে নেওয়ার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন জমির প্রকৃত মালিক। মালিককে না জানিয়ে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু। ভূমি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে বলা হয়েছে অবৈধভাবে মাটিকাটা উত্তোলনে প্রকৃতি কোন ক্ষতিসাধিত হোক বা না হোক আর এ কাজও অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং তার জন্য দুই বছর থেকে ও ৬ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে এবং ২ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই আইন প্রয়োগ করা যাবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে, জমির প্রকৃত মালিক মো: আলি আল রাজি (বাবু) ইট ভাটার মালিক মোঃ আবুল কালাম আজাদ (মানিক হাজী) গত ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি হতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমি ইট তৈরি ও রাখা এবং ব্যবহারের জন্য লীজ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি এটা না করে ওই জমি থেকে মালিককে না জানিয়ে অনেক গভীর করে মাটি উত্তোলন করে নিজের ইট ভাটার কাজে লাগিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে জমির মালিকের লোকজনকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়। জমির মালিক উভয় পক্ষের শর্ত অনুযায়ী লীজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। কিন্তু ওই ইটভাটার মালিক মোঃ আবুল কালাম আজাদ (মানিক হাজী) জমি ফেরত দিবেনা আগামী বছরও ব্যবহার করবে এই বলে জমির মালিকের লোকজনকে তাড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী চর বাড়াদির মৃত সেকেন্দার প্রমানিকের ছেলে হুমায়ুন প্রমানিক বলেন, শুক্রবার (২২ মার্চ) তারিখ জমির মালিক বাবু সরেজমিনে তিনি এসে তার জমিতে গর্ত করে মাটি কাটা হয়েছে বলে ভাটার লোকজনের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতেছিলো আমাকে না জানিয়ে মাটি কেন কাটা হলো। তারপরে দেখছি ভাটার মালিক মানিক হাজির লোকজন আবার ভেকু দিয়ে গর্ত বন্ধ করে দিলো। ভেকুর ড্রাইভার সুজন শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা এখানে দিন হাজিরায় কাজ করি ভাটার মালিক মানিক হাজি আমাকে মাটি কাটতে বলেছিল আবার এখন ভরাট করে দিতে বলেছে করে দিয়েছি। জমির মালিক আর ভাটার মালিকের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা আমরা জানিনা। ভাটার মালিক আবুল কালাম আজাদ (মানিক হাজি)’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে ৫ বিঘা জমির চুক্তি হয়েছে। আমার এখানে উঁচু করে মাটি রাখা ছিল। জমির মালিক আলি আল রাজি বাবু গতকালকে এসেছিল বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার মাটি অন্যথায় সরিয়ে নিয়ে সমতল করে দিয়েছি। আমার এখানে গাফিলতি নাই। জমির মালিক আমাকে আবার জমি যদি দেয় তাহলে নিতে রাজি আছি আর না দিতে চাই তাহলে ফেরত দিয়ে দিবো।