কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রী খালেদা পারভিন (৩৫) কে ৯ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সে সঙ্গে পৃথক দুটি ধারায় ৫ বছর ও ৪ বছর এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। গতকাল সোমবার বেলা ৩ টায় কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কেরামত আলী এই রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনা সময় মামলার একমাত্র আসামী খালেদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার সহযোগি হিসাবে উক্ত মামলায় কাজ করেন এ্যাড. নিজাম উদ্দিন।
সাজাপ্রাপ্ত খালেদা পারভিন যশোর জেলা কতোয়ালী মডেল থানার চুরামনকাঠি এলাকার হাফিজ উল্লার মেয়ে এবং সোনালী ব্যাংক কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ন পুর শাখার কর্মকর্তা আরিফুল হকের স্ত্রী। মামলার এজাহার এবং আদালত সুত্রে জানাযায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার চৌড়হাস আদর্শপাড়ার বাসায় স্বামী আরিফুলকে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তার হাত পা বেধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বীখন্ডিত করে সেটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আরিফুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তী করে। এই ঘটনায় ভুক্তভুগী ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাবী বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জহুরুল ইসলাম তদন্ত শেষে আদালতে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর অভিযুক্ত ঐ নারীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষনা করেন।