কিশোর গ্যাং বনাম জাতির ভয়াবহ ক্ষতি। অথই নূরুল
বতর্মানে বাংলাদেশের সবচাইতে আলোচিত বিষয় হচ্ছে কিশোর গ্যাং নিয়ে। এ যেন দেশে জ্ঞান শিক্ষা সাম্যতা ভদ্রতা সব আজ বিলুপ্তির পথে। চলমান যুগে যেখানে একজন কিশোর যখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। তার আগেই যদি এই কিশোর নষ্ট হয়ে যায়। নেশা ছিনতাই ডাকাতি সহ নানারকম অসুন্দর কাজে জড়িয়ে যায়। তাহলে এখানে এই সমাজ তার কাছ থেকে আর ভালো কিছু আশা করতে পারে না। একজন কিশোর যখন পথ ভ্রষ্ট হয়। সেখানে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার পরিবার। বুক ভরা ব্যথায় ব্যথিত হন তার পিতা মাতা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন এমনকি প্রতিবেশীরাও কষ্ট পান। শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। এই শ্লোগানটি তখন জাতীয় ভাবে মুখ তুবড়ে পরে। অন্য দিকে একটি কিশোর গ্যাং একটি পাড়া বা মহল্লায় যে পরিমাণ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। এ ক্ষতির পরিমাণ পরিমাপ করার মতো কোনো যন্ত্রই পৃথিবীতে আবিস্কার হয়নি। প্রাকৃতিক ভাবে মানব সমাজে যেসকল দুর্যোগ আসে যেমন মহামারি কালবৈশাখী বন্যা খরা সব কিছু এক সময় মানব সমাজ মোকাবেলা করে করে সামনে যাওয়ার সুযোগ খোঁজে পায়। কিন্তু কিশোর গ্যাং ওরা এই সমাজে সামাজিক ভাবে যে ক্ষতি করে। তা আর কোনো ভাবেই পূরণ করা সম্ভব হয়না সেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর। একটি কিশোর গ্যাং জন্ম হয়। পাড়া অথবা মহল্লার বড় ভাইদের হাত ধরে। যেন সমগ্র জাতির জন্য এক অশনি সংকেত। কিশোর গ্যাং যেন আজকে গোটা জাতির ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এই কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ করতে হলে আগে চিহ্নিত করা হোক সেই সকল বড় ভাইদের কে। তারপর ওদের জন্য ফাসি কার্যকর করা হোক। এই কিশোর গ্যাং শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা না গেলে। দেশের সকল কাঠামোতে অশান্তি থেকেই যাবে। এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। অথই নূরুল আমিন কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক। ঢাকা