ভাঙ্গায় সংখ্যালঘু এক হিন্দু পরিবারকে বসত ঘরে ফিরে যেতে দিচ্ছে না দুষ্কৃতকারীরা
ভাঙ্গায় সংখ্যালঘু এক হিন্দু পরিবারকে তার বসত বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না দুষ্কৃত মহল, সংখ্যালঘু পরিবারের অভিযোগ। এমন ঘটনাটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হোগলাডাংগী সদরদী গ্রামে। ভুক্তভোগী পরিবারটি হচ্ছে- অমল কৃষ্ণ সরকার। অমল কৃষ্ণের স্ত্রী দিপালী সরকার জানান, আমাদের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে করতে দিচ্ছে না লেবু বনিক,বিপুল চক্রবর্তী ও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী গংরা।
আমরা ৩৫ বছর ধরে দু তলা বিল্ডিং করে বসবাস করে আসছি। আমাদের দুটি গাছ জোরপূর্বক কেটে ফেলে এরা, পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিতে পারে নাই। আমাদের বসতঘরের পাশে ভাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড সম্প্রসারণ কাজে জায়গা জমি নিয়ে আমাদের বসত ঘর টিকে যায়। সরকারের লাগলে আমরা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এই অসাধু চক্রটি মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের বসত ঘর জোরপূর্বক দখল দেওয়ার পাঁয়তারা করতেছে। আমরা ঘরে প্রবেশ করলে আমাদের মারধর করে বের করে দেয়। ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ দিলে আমাদেরকে বসবাসের অনুমতি দেন।
কিন্তু ঘরে উঠতে গেলে ওই চক্রটি আমাদের হুমকি ধামকি সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী আনিসুজ্জামান জানান, সরকারের প্রয়োজনে ভাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড সম্প্রসারণ কাজে যতটুকু লেগেছে ততটুকু ব্যবহার নেওয়া হয়েছে , আবার যখন লাগবে তখন নেওয়া হবে। আমাদের পক্ষে কোন বাধা দেওয়া হয় নাই। এদিকে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ জানান, মূলত জায়গাটি সিএনবির পাশে একটি মন্দির রয়েছে সেই মন্দির পক্ষের কিছু লোকজন বাধা প্রদান করে এবং দুটি গাছ কেটে ফেলে। থানায় অভিযোগের পরে যিনি গাছ লাগিয়েছেন তাকে দেয়া হয়েছে।
এবং যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আবারো মীমাংসার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। এদিকে মন্দির কমিটির সদস্য শম্ভ বনিক জানান, অমল মন্দিরের জায়গায় ঘর উত্তোলন করে থাকে। জমি মন্দিরের নামে। সিএমবির পক্ষ থেকে অমলের ঘর ভাঙতে গেলে আমরা মন্দিরপক্ষ ঠেকাই।
আমরা এই জায়গায় মন্দিরের পক্ষে মামলা করেছি। এজন্যই ওদের ঘরে উঠতে বাধা প্রদান করা হয়। মন্দিরের সমস্যার কারণে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ভাঙ্গা
আরও পড়ুন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,