এম আবু হেনা সাগর
পাহাড়ী ঝান্ডু ফুলে ভাগ্য বদল
ঈদগাঁও ঘরবাড়ী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ঝাড়ু ফুলের বিকল্প নেই। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘরেই এই ফুলের রয়েছে কদর। বাইশারী আর ঈদগড়ের বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ের ঢালে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ঝাড়ু ফুল স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে এখন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
ঝাড়ুফুল সংগ্রহ ও বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করছেন স্থানীয় অনেকে। এই নিয়ে ভাগ্য বদল হয় বহু জনের। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় স্থানীয় মানুষ পাহাড়ী ঝাড়ু ফুলের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনেন। পাহাড়ের পতিত জমি থেকে নারী-পুরুষ এসব ঝাড়ু ফুল সংগ্রহ করে থাকেন। কাঁচা অবস্থায় এই ঝাড়ু ফুলের ৫-৬ ফুট দৈর্ঘ্যের শলাকা কেটে এক জায়গায় জড়ো করা হয়। শুকানোর পর ১২-১৫টি শলাকা বেঁধে বানানো হয় ছোট ছোট আঁটি। আবার ছোট ছোট এ ধরণের ৫০-৬০টি আঁটি দিয়ে বাঁধা হয় এক একটি বোঁঝা।
এরপর ঐসব বোঝা বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয় স্থানীয় বাজারে পাইকারদের কাছে। আর পাইকারদের কাছে এসব ছোট আঁটি বিক্রি করা হয় ২০-২৫ টাকায়। ২০ জানুয়ারী দুপুরে ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডে কাঁচা ঝাড়ু ফুল বিক্রির দৃশ্য চোখে পড়ে। বাজারে বিক্রেতারা ঝাড়ু ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেন।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারী ও খুচরা ক্রেতারা সেখানকার হাট থেকেই সংগ্রহ করেন ঝাড়ুফুল। ঈদগাঁওতে ঝাডুফুল বিক্রি করতে আসা রামুর শুক্কুর জানান, বর্তমানে সবখানে মৌসুমী ঝান্ডুফুল বেচাবিক্রি চলছে। ঘর পরিস্কারের ক্ষেত্রে এ ফুলের কদর রয়েছে তুঙ্গে। জুমের পতিত অংশে জন্মানো এই ফুল বাড়তি উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। পাহাড়কে জুমের জন্য প্রস্তুত করার পূর্বে এই ঝাড়ুফুল বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করা হয়।
এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকে। ঈদগড়-বাইশারী থেকে পাইকারী দামে কিনে ঝাড়ুফুল সরবরাহ করে চট্রগ্রাম বিভাগসহ দেশের নানা এলাকায়। এসময় ঝান্ডুফুল সংগ্রহ করে ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে দুর দুরান্তের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে নিয়ে যায়। স্খানীয়দের মতে, জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকেও পাইকাররা ভিন্ন ভিন্নদামে সংগ্রহ করে থাকেন গৃহস্থালি কাজের অন্যতম প্রয়োজনীয় এ ঝাড়ুফুল।
অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে এই ফুল। সংরক্ষণ করা গেলে পাহাড়ের অর্থনীতিতে এ পণ্যটি বিশেষ অবদান রাখতে পারবে বলে মনে করেন তারা।
পাহাড়ী ঝান্ডু ফুলে ভাগ্য বদল