কক্সবাজারের মহেশখালীর কালালিয়াকাটা এলাকা থেকে মহেশখালীর হোয়ানক এলাকার শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মামুন ও আব্দুল গফুরকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫ দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িতাধীন এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীসহ হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই, বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত/গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার এবং মাদকসহ সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন হোয়ানক ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডস্থ কালালিয়াকাটা এলাকার দিলুয়ারার বসত ঘরে কতিপয় ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ অনুমান ০৪.২০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দিলুয়ারা @ চংগুনির বসত ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং ০১ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে দেশীয় তৈরী ০৩টি একনালা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিস্তারিত পরিচয় :
১) মোঃ আব্দুল গফুর @ লাতু (৪৫), পিতা-মৃত জাফর আলী, সাং-কালালিয়া কাটা, হোয়ানক ইউনিয়ন, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার।
২) মোঃ মামুন (২৪), পিতা-মোঃ মঞ্জুর আলম, সাং-কালালিয়া কাটা, হোয়ানক ইউনিয়ন, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার।
৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা মহেশখালীর হোয়ানক এলাকার শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তারা জনৈক এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে এলাকায় অবৈধ অস্ত্র তৈরি, বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের নিকট এ সকল অস্ত্র সরবরাহ, চিংড়ি ও মাছের ঘের দখলে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করে থাকে বলে জানা যায়।
৫। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে ।
—-ধন্যবাদ—–