রায়গঞ্জে ভিড় বেড়েছে পুরনো শীতের কাপড়ের দোকানে
হৃদয় আহাম্মেদ লিমন
রায়গঞ্জ সিরাজগঞ্জ ( প্রতিনিধি)
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠান্ডা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পুরোনো কাপড় কেনার ধুম পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে।
রায়গঞ্জের ভূঁইয়াগাতী বাসস্ট্যান্ড রাস্তার ধারে মূলত জমে উঠেছে পুরোনো কাপড়ের বাজার ও ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকান। বিক্রেতারা কাপড় বিক্রির জন্য হাঁক-ডাক ছাড়ছেন হকার্স মার্কেটে।
বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার, জ্যাকেট, কানটুপি, মাফলার, শাল, ট্রাউজার, ফুলহাতা গেঞ্জি ও হুডিসহ বিভিন্ন শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতেও। সাইজ অনুযায়ী দামও আলাদা। এক-দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে চারশত’ টাকা দামের শীতের পোশাক মিলছে এসব দোকানে। এছাড়া হাত মোজা, কানটুপি ও ছোটখাট শীতের পোশাক মিলছে ১০০ টাকার ভেতরেই।
প্রায় সপ্তাহ ধরে কনকনে ঠান্ডার গরম পোশাকের চাহিদা এখন তুঙ্গে। বড় ময়দানস্থ লন্ড্রি বাজার খ্যাত হকার মার্কেট থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমল এবং ফুটপাতের দোকান সব জায়গাতেই ক্রেতার ভিড়। বিক্রিও হচ্ছে হরদম। তবে চাহিদা থাকায় শীতের পোশাকের দাম এবার বাড়তি। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করতে বেশিরভাগ ক্রেতাই পুরাতন কাপড়ের হকার মার্কেটেই বেশি ঝুঁকছেন। কিনছেন পছন্দের শীতবস্ত্র। বিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি দোকানিরাও।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। ফলে বেড়েছে পুরাতন গরম কাপড়েরও কদর। শীত থেকে রক্ষা পেতে নিজের কিংবা পরিবারের সদস্যদের জন্য কাপড় কিনতে ভিড় করছেন অনেকে। তবে এবার গরম কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় অনেকে বেকায়দায় পড়েছেন।
অফিস-আদালতে কাজ-কর্ম সেরে বিকেলে রায়গঞ্জের ভূঁইয়াগাতীতে পুরোনো কাপড়ের বাজার হকার মার্কেটে শীতের পোশাক কিনতে আসেন অনেকেই। শুধু অল্প আয়ের মানুষরাই নয়, কেনাকাটা করছেন মধ্যবিত্ত পরিবারসহ অনেকেই।
ইয়াস মাহবুব লিটন বলেন,’ভাই কাচারিত একটু কাজ ছিলো। শেষ করি চলি আনু কাপড়ের বাজারত। যে ঠান্ডা পইছে। মোর মা আর দুইটা ছোইলের জন্যে স্যুয়েটার কিনিম। দেখি পছন্দ করেছো। মেলায় দাম চাহেছে।’
আবহাওয়া অফিসে থেকে বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। রায়গঞ্জে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।