প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৫:২৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ৭:৪২ অপরাহ্ণ
দুইটি পৃথক অভিযানে মৃত্যুদন্ড ,সাজাপ্রাপ্ত ০২ জন পলাতক আসামী গ্রেফতার
র্যাব-১১ও
র্যাব-১২ এবং র্যাব-১১ ও র্যাব-৯ এর দুইটি পৃথক যৌথ অভিযানে কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক ইকতার হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত ০২ জন পলাতক আসামী গ্রেফতার।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
গত ১১ জানুয়ারী ২০২৪ ইং বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লা জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান উক্ত আসামিদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিষয়ে আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে।
এক পর্যায়ে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামীদ্বয়ের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রুতিতে র্যাব উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় সদর কোম্পানি, র্যাব-১১ ও র্যাব-১২ এর অভিযানে গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন মহাস্থান এলাকা হতে সুমন (৩০), পিতা- ডিপটি মিয়া, সাং- জুরানপুর, থানা-দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয় এবং র্যাব-১১ ও র্যাব-৯ এর অভিযানে গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ পৌরসভা এলাকা হতে রুবেল (৩৩), পিতা- মৃত খলিলুর রহমান, সাং- জাফরাবাদ, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বিকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য সুমন, রুবেল, জাহাঙ্গীর এবং ইমরান ইকতার হোসেনের সিএনজি গাড়িতে যাত্রীবেশে উঠে সিএনজি গাড়ীটি নিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া এলাকায় যায়।
উক্ত ছিনতাইকারীরা ভিকটিম ইকতার হোসেনকে হিমালয় মৎস্য প্রজেক্টের মধ্যে নিয়ে কিল, ঘুষি মেরে ও পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে কচুরীপানার মধ্যে লাশ গুম করে তার সিএনজি গাড়ীটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন জাহাঙ্গীর এবং ইমরানদ্বয়কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে দাউদকান্দি থানায় সোপর্দ করেন। নিহত সিএনজি চালক ইকতার হোসেন (৩২) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার কালাইরকান্দি গ্রামের আব্দুর রহমান বাবুর্চির ছেলে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ আক্তার হোসেন বাদী হয়ে উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩৩ তারিখ-২৫/০৪/২০১৩ইং ধারা-৩৯৪/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত, কুমিল্লা বিচার শেষে উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত পেনাল কোড ৩৯৪/৩০২/২০১/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি ২০২৪ইং তারিখে সিএনজি গাড়ীটি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে বাদীর ছোট ভাইকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সুমন, রুবেল, জাহাঙ্গীর এবং ইমরানদেরকে মৃত্যুদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা প্রদান করে।
এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃত্যুদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থ জরিমানাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদ্বয়কে র্যাব-১১ ও র্যাব-১২ এবং র্যাব-৯ এর যৌথ আভিযানিক গোয়েন্দা দল কর্তৃক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত