প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১২:১৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ৩:২৮ অপরাহ্ণ
সাদেক হত্যা মামলার পলাতক আসামী সবুজ ও নাজমা’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকায় চাঞ্চল্যকর সাদেক হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামী সবুজ ও তার প্রধান সহযোগী নাজমা’কে দিনাজপুর জেলার কাহারোল এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
র্যাব ফোর্সেস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, গণ-মানুষের নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে এ বাহিনী মাদক, অস্ত্র, জঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে ইতোমধ্যে জনমনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধ দমনে র্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ইতোপূর্বে যে সকল জঙ্গি ও জলদস্যুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ, পুনর্বাসন ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে র্যাব।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানাধীন চর কোমরভাঙ্গা এলাকায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকায় বসবাসকারী মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪০) উভয় মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সবুজের আপন জেঠাত ভাই সাদেক’কে বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে বেধরক মারধর করতে থাকে।
মারধর ও ডাক-চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়ে সাদেকের ভাই মোঃ রুবেল মিয়া ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসলে সবুজ ও তার স্ত্রী নাজমা সাদেক’কে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে দ্রæত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
অতঃপর সাদেকের ভাই রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন সাদেককে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিলেক কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে রাস্তায় সাদেক মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম সাদেকের লাশ তাদের নিজ বাড়ীতে নিয়ে এসে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ মায়না তদন্তের জন্য সাদেকের লাশ মর্গে প্রেরণ কেরন।
উক্ত ঘটনায় মৃত সাদেকের ভাই মোঃ রুবেল মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় চাঞ্চল্যকর সাদেক হত্যাকাÐে সরাসরি জড়িত মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪০) এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৪, তাং-১৭/১২/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ দÐ বিধি। উক্ত হত্যাকাÐের ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যাকাÐের বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকাÐের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক মাঝরাত ০০:৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র্যাব-১৩ এর সহযোগীতায় দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন নালাপুর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে উল্লেখিত ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল এলাকায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাঞ্চল্যকর সাদেক হত্যাকাÐে সরাসরি জড়িত প্রধান আসামী মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫), পিতা-মৃত আঃ মতিন, সাং-চর কোমরভাঙ্গা, থানা-নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ ও তার প্রধান সহযোগী তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪০)’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামীরা উক্ত হত্যাকাÐে তাদের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা মামলা রুজুর পর হতে দিনাজপুরের কাহারোল এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত