জয়পুরহাটের কয়া এলাকা থেকে ফেন্সিডিল ও বুপ্রেনরফিনসহ ০১ মাদক কারবারী কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
র্যাব প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষণ মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এক সময় দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় চরমপন্থী সর্বহারা দলের সদস্যরা খুন, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উক্ত জেলাসমূহে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সময়ের পরিক্রমায় র্যাবের উপর্যুপরি অভিযানে চরমপন্থীদের সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্ব ভেঙ্গে পড়ে। অধিকাংশ চরমপন্থী দলের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। অনেকে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে। র্যাব-৫ তাদেরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে¡ ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ ২২০০ ঘটিকায় জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন কয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০৪ বোতল ফেন্সিডিল ও ৪৮ পিচ বুপ্রেনরফিন ইঞ্জেকশনসহ মাদক কারবারী মোঃ ফরহাদ মন্ডল (৩৮), পিতা-মৃত শামসুল মন্ডল, সাং-বাগজানা, থানা-পাঁচবিবি, জেলা-জয়পুরহাট কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ফরহাদ এলাকার চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল ফরহাদ এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ০৮-১-২০২৪ ইং তারিখে ২২০০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ও বুপ্রেনরফিন ইঞ্জেকশন ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন কয়া এলাকা থেকে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল ফরহাদ কে আটক করে। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উক্ত আসামীর নিকট রক্ষিত অবৈধ মাদকদ্রব্য ০৪ বোতল ফেন্সিডিল ও ৪৮ পিচ বুপ্রেনরফিন ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা হয়।
মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।