ডিবি পরিচয়ে অপহরণ পূর্বক অর্থ আদায় চক্রের মূলহোতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জ*ঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘব*দ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
বিগত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন সুলতানপুর চৌধুরী মার্কেট হতে বেকারীর মালামাল তৈরি করার জন্য পিকআপ ভ্যানে ২০ বস্তা চিনিসহ ভাদুঘর সাকিনস্থ ভিআইপি বেকারীর দিকে যাওয়ার পথে সুলতানপুর বড় মসজিদের রাস্তার উপর পৌঁছালে ৬ জন ব্যক্তি ৩টি মোটরসাইকেল যোগে এসে ভিকটিমের পিকআপ গাড়ীর গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কৌশলে পিকআপসহ ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে, আসামীরা ভিকটিমকে মারধর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার নিকট থাকা নগদ ৫০ হাজার জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় ও বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩৯ হাজার ২২০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই ঘটনায় ভিকটিমের বোন জামাই বাদী হয়ে গত ০২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সরকারি কর্মচারি পরিচয়ে অপহরণ পূর্বক অর্থ আদায়ের একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৩, তারিখ- ০২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ১৪৩/১৭০/৩৪১/৩৬৩/৩২৩/৩৭৯/৩৮৫/৩৮৬/৫০২(২) পেনাল কোড। উক্ত ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার ০১ নং আসামী শেখ অবুজসহ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা- ১। শেখ অবুজ (২৫), সাং- সুলতানপুর, ২। পিয়াস(৩০), সাং- কান্দিপাড়া, ৩। শেখ সবুজ(২৮), সাং- সুলতানপুর, ৪। শিপন মিয়া(২৮), সাং- কান্দিপাড়া, ৫। হৃদয় (২৩), সাং- সুলতানপুর, এবং ৬। আওয়াল মিয়া (৪০), সাং- সুলতানপুর, সর্ব থানা- সদর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। উল্লেখ্য, ধৃত আসামীদের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া, যেকোন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।