কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন ওয়াব্রাং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪৪,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ দুইজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার র্যাব-১৫ ও ৪৪,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে দেশের যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ কর্তৃক দায়িত্বাধীন এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক কারবারী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকার জনৈক এক ব্যক্তির বসত ঘরের ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ রয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ০৫ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানিক দল উক্ত স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দুইজন ব্যক্তি তাদের হাতে থাকা শপিং ব্যাগসহ ঘর থেকে বের হয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা তাদের হাতে থাকা শপিং ব্যাগের ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট আছে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃতদের দেহ ও তাদের সাথে থাকা শপিং ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ৪৪,০০০ (চুয়াল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয় ১। মোঃ তারেক (১৮), পিতা-সৈয়দ নুর এবং ২। মোঃ রায়হান (১৮), পিতা-আবুল হোসেন, উভয় সাং-ওয়াব্রাং, হ্নীলা ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। তারা পরস্পর যোগসাজসে ইয়াবার চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহপূর্বক নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
—–ধন্যবাদ—–