নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: মিরাজ মাহমুদ
২০২৪ সালকে নব আঙ্গিকে দেখতে চায় নোবিপ্রবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
বিদায় নিলো ২০২৩, ক্যালেন্ডারের পাতায় যুক্ত হলো আরো একটি নতুন বছর। নতুন বছর মানে অতীতের সকল গ্লানি মুছে একরাশ নতুন স্বপ্ন – সম্ভাবনা ও প্রত্যাশা নিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু করা।হাজারো সম্ভাবনার কেন্দ্রভূমি দক্ষিণ এশিয়ার সার্বভৌম দেশ সুজলা – সুফলা শষ্য শ্যামল এই বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫২ তম বছরে পদার্পণ করেছে।শত সংকট, বাধা – বিপত্তি ও করোনা কালীন দূর্যোগ মোকাবেলা করেও সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল সহ অসংখ্য অবকাঠামো, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি , শিক্ষার গুণগতমান, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র বিমোচন, মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ সহ বেশ কিছু উন্নয়নের সাক্ষী আমাদের বাংলাদেশ।
সুখ ও সমৃদ্ধির সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যারা আগামী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মানের কারিগর, যাদের নেতৃত্বে গতিশীল হবে এই উন্নয়ন যাত্রা চলুন জেনে নেই নতুন বছরে বাংলাদেশ নিয়ে সেই সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা ও ভাবনা।
• বাংলাদেশ সরকার নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।ইতিমধ্যে বহুবিধ বিশ্বমানের উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। এই নতুন বছরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ও সুনাম আরো বৃদ্ধি পাক এবংবাংলাদেশ সরকারে দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুদুরপ্রসারি ও টেকসই উন্নয়নের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাকএটাই প্রত্যাশা । নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ট্রেজারার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
• নতুন বছর এলে আমরা অপূরণীয় অনেক স্বপ্ন দেখি। পুরোনো বছরের স্মৃতি কাটিয়ে নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। ২০২৩ সালের সকল না পাওয়া পূর্ণতা পাক প্রাপ্তিতে নতুন বছরে। কানায় কানায় ভরে উঠুক প্রাপ্তির সকল ঝুড়ি।বিগত বছরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রাপ্তির পরেও কিছু প্রাপ্তি না পূরণেরও বেদনা আছে। আমার প্রত্যাশা এই নতুন বছরে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলকে পৌঁছাবে । অধ্যাপক ড. মোঃ আনিসুজ্জামান সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি এবং প্রক্টর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
তামান্না তাম্মী ( শিক্ষা বিভাগ – মাষ্টার্স) নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা : আমাদের দেশের শিক্ষা চিন্তার মূল লক্ষ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে তোলা ও তাদের চিন্তা-চেতনায় দেশাত্ববোধ, জাতীয়তাবোধ এবং তাদের চরিত্রে সুনাগরিকের গুণাবলি ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো। বর্তমান সময়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হায় একীভূত শিক্ষাকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে যাতে করে সবধরনের বাঁধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা সমানভাবে সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে বর্তমান কারিকুলাম নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় আমরা অনেক তর্ক বিতর্ক দেখছি। মূলত এই কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে বিকশিত চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি এবং অনুসন্ধিৎসু মননের অধিকারী ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা চাপ প্রয়োগের ফলে নয় বরং আনন্দের ছলে শিখবে। সেক্ষেত্রে এই কারিকুলামে মূলত শিক্ষকদের ভূমিকা অতুলনীয়। তাই শিক্ষকদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত হবে বলে আমি মনে করি।
তানজিমা সুলতানা ( ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট -৪র্থ বর্ষ) নতুন বছরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার চাওয়া: ১. আরও বেশি পরিচ্ছন্ন, সবুজময় ও রঙিন ক্যাম্পাস ২. শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট অনুদান ৩. জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন ফেস্ট আয়োজন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন সাব্বির ( পলিটিক্যাল সাইন্স -৪র্থ বর্ষ) নতুন বছরে আমরা চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। নতুন প্রজন্ম থেকে নতুন নেতৃত্ব তৈরী হোক এবং স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীতে অবশ্যই স্মার্ট প্রজন্ম অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের অনেকের প্রথম ভোট আবার অনেকের হয়তো শেষ ভোট। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে সবাই চাই ভোটাধিকার এবং অবশ্যই চাই সুষ্ঠুতার সাথেই হোক এই পবিত্র ভোট।
নজরুল ইসলাম ফয়সাল ( ব্যাবসায় প্রশাসন -৪র্থ বর্ষ) ২০২৪ সালে, আমি একজন শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক খাতে একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনার প্রত্যাশা ধারণ করছি। আমাদের প্রযুক্তিগত সৃষ্টি, শিক্ষার প্রভাবশালী ভূমিকা, বেকারত্ব নিরসন এবং বাণিজ্যিক সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশ আরও উন্নত হোক এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হোক । এছাড়াও শিক্ষা, উৎপাদন, এবং বাজার মান অনুযায়ী প্রস্তুতির মাধ্যমে একটি সক্ষম এবং সমৃদ্ধ দেশ অগ্রসর হোক এবং দৈহিক স্বাস্থ্যে মান উন্নত করতে দ্বিধা না করে শৃঙ্খলা প্রত্যাশা করি, যাতে দেশটি স্বাস্থ্যকর ও সহায়ক উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পারে।আমি আশা করি আমাদের প্রযুক্তি, স্ব-শিক্ষিততা, এবং শ্রম বাজারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।