লেখক ও কলামিষ্টঃ অথই নূরুল আমিন
ঢাকা শহরে ভোটার খোঁজে পাচ্ছে না প্রার্থী এবং তাদের কর্মীরা
ঢাকা মহানগরীতে চরম ভোটার সংকট দেখা দিয়েছে।আবাসিক বা অনাবাসিক এলাকা গুলোতে। ঢাকা শহরের বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে। ভোটাররা তাদের দেয়া ঠিকানায় নেই। এমনকি তাদের হদিস পাওয়া দুস্কর হয়ে পরেছে।
এখানে গবেষণা করে দেখেছি। ঢাকা শহরে গণহারে সর্ব প্রথম ভোটার করা হয় 2008 সালে। সেই সময় ঢাকা মহানগরে প্রায় আশিভাগ জনগণ বসবাস করতো বস্তিতে। আজকে সেই দিনের সেই বস্তি গুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। সবই আজকে পাকা দালান এমনকি বহুতল ভবনের শেষ নেই।
তাই পর্যাক্রমে বস্তির সেই নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো সময়ের ব্যবধানে অভাবের তাড়নায় স্থান ছেড়ে চলে যেথে বাধ্য হয়েছে।
2008 সালে ঢাকা মহানগরে জনসংখ্যা ছিল মাত্র আশি লাখ। আজকে শহরের পরিধি বেড়ে যেমন বড় হয়েছে তিনগুণ। এদিকে বহুতল ভবন হয়েছে অগণিত। তাই আজকে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা আড়াই কোটির সমান। তারপরও ভোটার সংখ্যা কম কেন? এরকম একটি প্রশ্ন থেকেই যায়।
এছাড়া ঢাকার অনেক গরিব ভোটাররা সরকারের প্রতি খুবই অভিমান তাদের। একমাত্র ভোট এলেই তাদেরকে খোঁজে বের করার জন্য প্রার্থীরা বাড়িতে বাড়িতে কর্মী পাঠিয়ে থাকে। ভোট চলে গেলে ওদেরকে অস্থায়ী নাগরিক বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকে এমপি মেয়র এমনকি কাউন্সিলর গণেরা।
এমনকি শহরের অনেক বস্তির ভোটারেরা তাদের কোনো দুঃখ কষ্ট বলার মত আর প্রতিনিধি থাকে না। 2008 সালের ঢাকা মহানগরীর সেই সব বস্তির ভোটারেরা তাদের কোনো রকম কোনো কদর করেনি। যেমন করেনি সরকার তেমনি করেনি কোনো জন প্রতিনিধি।
আসন্ন 7 জানুয়ারি 2024 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা শহরের মুল শহরের ভিতরে অনেক আসনে 20% ভোটারকে উপস্থিত করানো কঠিন হয়ে যাবে। তার মধ্য তিনটি কারণ প্রাধান্য পেয়েছে। তার একটি হচ্ছে ভোটার তার স্থান পরিত্যাগ করা দ্বিতীয় হচ্ছে অনেক ভোটার আজ শক্ত অভিযান করেছে তাদের ভাষ্য হলো আমরা সরকারের কাছে কী পেয়েছি। তৃতীয় হলো নিত্য পণ্যের মূল্য সীমাহীন বেড়ে যাওয়া।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।
29/12/2023 |