আড়াইহাজারে “৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণে” জড়িত প্রধান আসামী জাহিদ’কে র্যাব-১১, সদর কোম্পানী, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক গ্রেফতার।
৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোরপূর্বক গণধ*র্ষণ
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
পাশাপাশি আগামী ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে র্যাব ১১ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অপরাধ দমনে র্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ইতোপূর্বে যে সকল জঙ্গি ও জলদস্যুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ, পুনর্বাসন ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার মামলা নং-১০, তাং-০৮/০৯/২০২১ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) ৯(৩)/৩০ এর এজাহারনামীয় প্রধান আসামী। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ভিকটিম ৭ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন।
এজাহারনামীয় আসামী জাহিদ ও বিল্লাল স্কুলে যাওয়া আসার পথে ভিকটিমকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করা’সহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভিকটিম উক্ত প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। তাই বিল্লাল ভিকটিমের প্রতিবেশি জায়েদা আক্তার সাদিয়া এর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। জায়েদা আক্তার সাদিয়ার সাথে সুসম্পর্কের মাধ্যমে আসামী জাহিদ ও বিল্লাল গত ৩০/০৮/২০২১ ইং তারিখ বেড়ানো কথা বলে ভিকটিমকে নিয়ে আড়াইহাজার থানাধীন সিংরাটি হইতে পাঁচগাঁও যাওয়ার কাঁচা রাস্তায় সোনাখালী ব্রীজ সংলগ্ন কাঁচা রাস্তায় নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার সহযোগী অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিম এর পিতা বাদী হয়ে বর্ণিত মামলাটি দায়ের করেন। মামলা রুজুর পরপরই আসামীরা আত্মগোপনে ছিল। এই মামলা রুজু হওয়ার পর হতে পলাতক আসামী জাহিদ (২০)’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, সদর কোম্পানি এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তার অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গণধ*র্ষণ মামলার পলাতক আসামী জাহিদ (২০), পিতা-বাচ্চু মিয়া, সাং-সিংরাটি, এ/পি-সুলতানসাদী (মোস্তফা এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’কে সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ২৬/১২/২০২৩ ইং নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা হতে আসামী'কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।