একটি শিক্ষামুলক রচনা প্রসঙ্গ : অতিথ অথই নূরুল আমিন
আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো আমি কারো অতিথ নিয়ে ঘাঁটি না। আমার কাছে তাদের বতর্মান পরিচয়টাই বড়। কারণ কোনো কোনো মানুষ অনেক সময় অনেক বড় প্রতিকূলতা থেকে এক সময় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেক মানুষ জীবনের কাছে হেরে গিয়ে নিঃসঙ্গ জীবন কাটায়। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের জীবন যেন। একেকটা আয়না সাদৃশ্য। হঠাৎ ধনী হঠাৎ গরিব এই রকম বাস্তব চিত্র ছাড়া একজন মানুষের জীবনে শত রকম সুবিধা অসুবিধা এসে জীবনের সঙ্গে মিলে যায় মিশে যায়। কোনো একজন মানুষের হঠাৎ তার স্ত্রী মারা গেলে এই মানুষটার মাঝ থেকে জীবনের জন্য যেমন আনন্দ হাসি বিলুপ্তি হয়ে যায়। তেমনি একজন নারীর স্বামী হঠাৎ করে মারা গেলে তারও জীবন থেকে চলে যায় আনন্দ ও হাসি। আমি এখানে মানুষের কথা বলছি। অমানুষদের কথা বাদ। সংসার জীবনে কখনও কোনো ভাবে একজন সন্তান মারা গেলও দির্ঘদিন এই পরিবারে থাকে শোকের ছায়া। স্বামী স্ত্রী ডিভোর্স হলেও দুজনের মাঝে জমাট বাঁধে কষ্টের ছাপ। শিক্ষিত হওয়ার পর যোগ্য একটি কর্ম না পাওয়া জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট। ব্যবসায় লোকসান হলে আত্মীয় স্বজনেরা সবাই তাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখে। এছাড়া কোনো আত্মীয় স্বজনের কাছে অনাদর পাওয়া লোক গুলো মানসিক ভাবে খুবই কষ্ট পায়। তাছাড়া সমাজে যেমন রয়েছে প্রতারক। তেমনি রয়েছে বিশ্বাসঘাতক তাদের প্ররোচনায় পরে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে যায়। অনেক লোক নিজের কিছু আত্মীয় স্বজনের মঙ্গল করতে গিয়েও প্রতারণার জন্য লোকসানী হয়ে যায়। তাই আমি ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কারো অতিথ জানতে চাই না। তাদের বতর্মান আমার কাছে প্রিয়। এখানে ধনী গরিবের প্রশ্ন নয়। মানুষের বিবেক বুদ্ধি এবং সাধারণ জ্ঞান এটাই যথেষ্ট। অথই নূরুল আমিন কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।