ঈদগাঁওতে ধানকাটা মৌসুমে শ্রমিকের দ্বিগুন দাম : ভিনদেশীদের ছড়াছড়ি
চলতি মৌসুমে ঈদগাঁওতে ধান কর্তনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কদর তুঙ্গে। দ্বিগুন দামে বিপাকে পড়েন গ্রামাঞ্চলের ধান চাষীরা। সেই সাথে ভিনদেশীয় শ্রমিকদের ছড়াছড়ি, স্থানীয়রা কোণঠাসা। ৫ ডিসেম্বর সকালে ঈদগাঁও বাজারের শাপলা চত্তর পয়েন্টে শ্রমিকদের বিকিকিনির এমন দৃশ্য চোখে পড়ে এ প্রতিবেদকের। তথ্য মতে, প্রতিবছরের ধারায় এ বছরও চলতি মৌসুমে বৃহত্তর ঈদগাঁওর গ্রামীন জনপদের বিলে সবুজ ধান কর্তনে চাষীরা শ্রমিকদের কাছে ধর্না দিচ্ছে। এমনকি বৃহৎ এলাকা ছাড়াও পাশ্বর্বতী বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাজারে আগত ধান কর্তনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সরগরমে পরিনত হয়ে উঠেছে। তবে ধান চাষীরা শ্রমিক দেখলেও দামে মেলাতে পারছেনা।
এ বছর স্থানীয় শ্রমিকরা কোণঠাসা, ভিনদেশী শ্রমিকের কারনে। এদিকে ঈদগাঁও বাজারের হাটে আসা বেশি সংখ্যক শ্রমিক হচ্ছে কুতুপালং এলাকার। এ বছর শ্রমিকরা ৭শ থেকে ৮শত ৫০ টাকা দরে যাচ্ছে ধান কাটতে। মোহাম্মদ জুবাইর নামের এক শ্রমিকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, তার নিজ বাড়ী বার্মার মংডুতে। সে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে ধানকাটার কাজ করতে ঈদগাঁওতে এসেছেন বলেও জানায়। কজন স্থানীয় শ্রমিক জানান, অতিরিক্ত দামে ধান কর্তনের কাজ চলছে বৃহত্তর এলাকার পাড়া গাঁয়ে। কম হলে কাজ করতে ইচ্ছুক নন তারা। ভিনদেশীদের কারনে আমরা স্থানীয়রা অনেকটা কোণঠাসা। এক চাষী জানান, তিনি অনেক কষ্টের বিনিময়ে ধান চাষ করে প্রতি বছর।
কিন্তু কর্তনের বেলায় শ্রমিকদের মনগড়া দাম আসলেই দু:খজনক। শ্রমিকরা এক কথায় আর নড়াচড়া হয়না বলেও জানান। দ্বিগুন দাম নিয়ে ধান চাষীদের মাঝে চাপাক্ষোভ বৃদ্বি পাচ্ছে। আবার অনেক চাষীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ধান কর্তনের কাজ সেরে নিতেও দেখা যায়। জমি থেকে কিছু কিছু সোনালী ধান ঘরে তুলছে চাষীরা,আবার বহুজমিতে ধান পরিপূর্ন পাকলেই কর্তন শুরু করবেন বলেও জানা গেছে।