মাত্র ৩ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ কুষ্টিয়া শহর ও পান্টি এলাকায় কিনেছেন দোকানসহ জমি বাড়ি নামে বেনামে কিনেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি বলছি কুমারখালী চাঁদপুর ইউনিয়ন এলাকার মহননগর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহরিয়ার শাওনের কথা। কৃষকের সন্তান বেকার যুবক শাওন মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে হয়ে গেছেন কোটি টাকার মালিক যা দেখে এলাকাবাসী অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে। তবে শাওন কোটি কোটি টাকা সম্পদের মালিক হলেও তার খপ্পরে পড়ে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ নিঃস্ব হয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, অনলাইন ও অফলাইন জুয়ার সিন্ডিকেট রয়েছে মোঃ শাহরিয়ার শাওনের।
সিন্ডিকেট এ রয়েছে বেশ কিছু এজেন্ট, এজেন্টের আন্ডারে রয়েছে কয়েকশো সদস্য এই সদস্যারই মূলত জুয়া খেলোয়ার। মোবাইল ফোনে কথোপকথন এর মাধ্যমে এ জুয়া খেলা পরিচালিত হয়ে থাকলেও বর্তমান সময়ে এই খেলাতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে তৈরী হয়েছে সফটওয়্যার অ্যাপ । যেখানে প্রত্যেক এজেন্টকে তাদের স্মার্ট ফোনে ইন্সটল করে আলাদা আলাদা একাউন্ট খুলে দেয়া হয় এরপর এজেন্টরাও তাদের সদস্যের একইভাবে আলাদা আলাদা একাউন্ট খুলে দেয় আরো জানা যায়, এই অনলাইন একাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া খেলা হয়ে থাকে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, টেনিসবল সহ বিভিন্ন ধরনের খেলাতে জুয়ারীরা বিট করে থাকেন বিট করতে বিট কারীদের অনলাইন একাউন্টে প্রয়োজন মত টাকা রাখতে হয়।
খেলায় হার-জিতের মাধ্যমে একাউন্টে টাকা জমা ও কেটে নেয়া হয় প্রত্যেক এজেন্ট এর আন্ডারে সদস্যরা তার এজেন্টের মাধ্যমে এই আর্থিক লেনদেন করে থাকে। আর সকল এজেন্টরা সিন্ডিকেটের মূল হোতা শাওনের সাথে লেনদেন করেন। এই ভাবে এই জুয়ার সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন মোঃ শাহরিয়ার শাওন। পাশাপাশি মুঠোফোনে কথোপকথন এর মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেও জুয়া খেলা চালিয়ে যায় শাওন। জুয়ার এই বিশাল সিন্ডিকেট চালাতে শাওনকে সহযোগিতা করেন তার বিশ্বস্ত সহযোগী টিটু। কুষ্টিয়া শহরের কোটপাড়া এলাকায় ছয় তলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সেখান থেকে সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে এই শাওন।
আইপিএল বিপিএল সহ জনপ্রিয় বিভিন্ন লীগকে কেন্দ্র করে মূলত এই জুয়া খেলা হয়ে থাকে। স্থানীয়দের বরাত জানা যায়, জুয়ার সিন্ডিকেট চালিয়ে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ৫৬ লক্ষ টাকার জমি, কুমারখালী পান্টি বাজারে ৬২ লক্ষ টাকায় ২.৮০ শতাংশ জমি বাড়ি সহ ৩- টি গোডাউন। গোডাউনে রড, সিমেন্ট, টিন এর ব্যাবসা শুরু করেছে আনুমানিক গত ১০-১৫ দিন যাবৎ, এবং এই দোকানের নাম করণ করেছেন " শাওন ট্রেডার্স। এবং শহরের আদর্শ পাড়া এলাকায় কফি শপ কিনেছেন মোঃ শাহরিয়ার শাওন।
নিজ গ্রামের কুঁড়েঘরকে বানিয়েছেন আলিশান বাড়ি, সেই বাড়িতে এসি, টিভি, ফ্রিজ সহ রয়েছে বিদেশী বিলাসবহুল দ্রব্য সমাহার। তাছাড়া নামে বেনামে অঢেল সম্পদ রয়েছে তার। প্রশাসন তদন্ত করলে শাওনের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলেও জানান তারা । ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে জানা যায় শাওনের সিন্ডিকেটের সদস্য কুমারখালী নিয়ামত বাড়ি এলাকার শফিউদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান। সহায় সম্বল হারিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে লাপাত্তা মিজান। আরো এক ভুক্তভোগী মহননগর গ্রামের ওসমানের ছেলে কালাচাঁদ।
শাওনের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জুয়া খেলে শেষ সম্বল হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকে। মিজান, কালাচান এর মত অনেক মানুষই আজ শাওনের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা সমাজের মরন ব্যাধি জুয়ার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে হ শাওনের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন সেই সাথে তারা সকল জুয়ার সিন্ডিকেট কে ধ্বংস করার দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে শাওনের ২- টি মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি পরিশেষে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত