বিদেশী মালিকানাধীন নামীদামী কোম্পানীর পণ্য বাদে দেশীয় পণ্যে এলার্জি ছিল রাসেল আহম্মেদের। তবে ইদানীং তার রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশের জন্য টুথপেস্ট থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন দেশীতে।
শুধু তার নই, হঠাৎ করে এমন অনেক রাসেলের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। ফলে গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে দেশীয় পণ্যের চাহিদা। তবে চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশীয় কোম্পানীর পণ্য নেই বেশীরভাগ দোকানগুলোতে। এতে বাধ্য হয়ে অনেকে বিদেশী মালিকানাধীন কোম্পানীর পণ্য ক্রয়ে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকে পণ্য না পেয়ে ক্রয় না করেই চলে যাচ্ছেন। অনেকে খোঁজ করে চলছেন দোকানে-দোকানে।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা পাওয়া যায়।
জানা যায়, সম্প্রতি দেশীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানীর জিনিসপত্রের চাহিদা বেড়েছে। ক্রেতারা তেল, সাবান, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে দেশীয় বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খুঁজছেন। তবে কয়েকদিন আগেও এসব পণ্যের চাহিদা না থাকায় দিনের পর দিন দোকানে পরে থেকেছে। এতে বেশিরভাগ দোকানীর দেশীয় কোম্পানীর পণ্য দোকানে রাখা হয়নি। যারা রেখেছেন তারাও সীমিত রেখেছিলেন। যার ফলে হঠাৎ এমন চাহিদা বাড়ায় এসব পণ্যের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।
দেশীয় পণ্যের ক্রেতারা বলছেন, দেশের অর্থ দেশে থাক এ প্রত্যয়ে দেশীয় কোম্পানীর পণ্য ক্রয়ে আগ্রহ তাদের। তাই তারা দেশীতেই স্বস্তি খুঁজছেন তারা। দেশীয় পণ্যের ক্রেতা রাসেল আহম্মেদ বলেন, আমি পূর্বে বিদেশী কোম্পানী গুলোর পণ্য ক্রয় করতাম। তবে হঠাৎ করে দেশীয় পণ্য ক্রয় করে দেখি এর মান খারাপ না। আবার দামও কম।অযথা নিজের অর্থ বাহিরের কাউকে দিয়ে কি লাভ? তবে দেশীয় সব ধরণের পণ্য বাজারে পাওয়া কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কিছু বিদেশী কোম্পানীর পণ্য নিতে বাধ্য হচ্ছি।
দোকানীরা বলছেন, হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় দেশীয় সব পণ্য মিলছেনা। তবে চাহিদা বাড়ায় অল্ল সময়ে দেশীয় পণ্যের অভাব ঘুচবে। মুদি দোকানী নিয়ামত হোসেন বলেন, আমরা দোকানে যেসকল পণ্য বেশী চলে সেগুলোই রাখি। দেশীয় কোম্পানীর পণ্য সাধারণ আগে খুবই কম চলতো। হঠাৎ অনেকে কিনছে। যার ফলে চাহিদা বেড়েছে। আমরা সব পণ্য ক্রেতাদের দিতে পারছিনা। ক্রেতারা যা চাইবে আমরা দোকানে তাই তুলব।