কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন কাটাবুনিয়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে যৌথ বাহিনী (র‌্যাব, কোস্ট গার্ড এবং পুলিশের সমন্বয়ে) কর্তৃক গ্রেফতার

১। র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও নানাবিধ অপরাধ দমনে যৌথ বাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায়, ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নস্থ কাটাবুনিয়া এলাকায় যৌথ অভিযান (র‌্যাব-১৫, কোস্ট গার্ড এবং পুলিশের সমন্বয়ে) পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, কতিপয় সন্ত্রাসী অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে বর্ণিত এলাকায় জড়ো হয়ে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে ঐদিন ভোরে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালালে আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সন্দেহজনকভাবে কতিপয় ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ধাওয়া করে তিনজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে অভিযান এলাকা ও আটককৃত ব্যক্তিদের তল্লাশী করে সর্বমোট ০৩টি তলোয়ার, ০২টি রামদা, ০৫টি চাপাতি এবং ১৩টি কিরিছ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের বিস্তারিত পরিচয়-

১) মনির আহমদ (৫২), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, মাতা-সখিনা খাতুন।

২) মোঃ জিয়াউল ইসলাম (২৭), পিতা-মৃত আনু মিয়া, মাতা-সুবিনা খাতুন।

৩) মোঃ সোহেল (২৫), পিতা-মৃত মোহাম্মদ আমির।

সর্বসাং-কাটাবনিয়া, ওয়ার্ড নং- ০৩, ইউনিয়ন-সাবরাং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।

৩। গ্রেফতারকৃত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া এলাকার সংঘবদ্ধ একটি অপরাধী চক্র। তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে জমি জবর দখল, লটুতরাজ, মাদক কারবার এবং চোরাচালানসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

৪। উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

-----ধন্যবাদ-----