কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন রশিদনগর ইউনিয়নস্থ খাদেমেরপাড়ায় রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের ক্লুলেস হত্যায় কিলিং মিশনে সরাসির জড়িত জিয়াউল হক ওরপে জিকু’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

১। র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই, বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত/গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার এবং মাদকসহ সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। গত ০৭ জুলাই ২০২৪ তারিখ রবিবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারের রামু থানাধীন রশিদ নগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ খাদেমের পাড়া গ্রামের রেললাইনের পূর্বপাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়।

উক্ত মৃত্যুর ঘটনা উৎঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।

র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল নিহত আব্দুল্লাহ-আল-মামুন (৩০), পিতা-মৃত মোঃ নবী হোসেন, সাং-ঘাটপাড়া খুরুলিয়া, ঝিলংজা ইউনিয়ন, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার এর হত্যার রহস্য উন্মোচনে তারই বন্ধু মোঃ শাহেদ হোসেনকে সন্দেহ তালিকার শীর্ষে রেখে নিজ হেফাজতে নেয় এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ এই হত্যায় মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নিজের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও উক্ত ঘটনায় তার সাথে জড়িত আরো অনেকের নাম উল্লেখ করে।

৩। এরই সূত্র ধরে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখ কক্সবাজারের রামু থানাধীন গর্জনীয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের ক্লুলেস হত্যায় কিলিং মিশনে সরাসির জড়িত আসামী জিয়াউল হক ওরপে জিকু (২৬), পিতা-আব্দুল গনি, মাতা-মৃত মাবিয়া খাতুন, সাং- কালির ছড়া চরপাড়াম ৫নং ওয়ার্ড, ঈদগাঁও ইউনিয়ন, থানা-ঈদগাঁও, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জিয়াউল হক ওরপে জিকু উক্ত হত্যাকান্ড সম্পর্কে জানায় যে, সে মামুন হত্যার কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়া অন্যান্য আরো ৬ জন হত্যাকারী উক্ত হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করে।

মামুন হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শাহেদ এর নিকট হতে অর্থের বিনিময়ে তারা সকলেই উক্ত কিলিং মিশিন চালিয়েছে বলে গ্রেফতারকৃত জিকু স্বীকার করে।

৫। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজারের রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

-----ধন্যবাদ-----