নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আবারো উত্তপ্ত কুষ্টিয়া , ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিস ভাঙ্চুর ও লুটতরাজ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার পান্টি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে আ.লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দোকান পাট, বসতবাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯জুন) দুপুর ৩ ঘটিকায় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফরের নেতৃত্বে, ৯- নম্বর চাদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রাশিদুজ্জামান (তুষার) এর উপস্থিতি তে, রাশিদুজ্জামান (তুষার) এর ক্যাডার বাহিনী এবং ৫ নং পান্টি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য তাইজাল, শরিফুল , রাজ্জাক, শহীদ ,চাষী রহমান, খোকন জোয়ার্দার ,সাইফুল ও তার দলবল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালায়।
এ সময় তারা পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অফিস সহ বেশ কয়েকটি বাড়ী, দোকান ও একটি মিলে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তিন ঘন্টা ব্যাপী চলমান এই সহিংসতায় উভয় পক্ষের মধ্যে চলে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া। এতে আহত হয় বেশ কয়েকজন।
এ বিষয়ে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এইচ এম আব্দুল্লা টিপু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফরের সাথে রাজনৈতিক কোন্দল চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ ঘটিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর সাহেবের ইন্ধনে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর কার্যালয়, দোকানপাট, বসত বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, নৌকায় ভোট করা ও নৌকা প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতেও আমাদের এরকম নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী এই সকল পরিবার।
ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউল হক (সুমন) বলেন, জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফরের সাথে কোন্দল চলে আসছিল। এরই জের ধরে মাত্র ৫০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে নির্দেশ প্রদান করে তার দলবল দিয়ে তালা ভেঙে ইউনিয়ন অফিসের কার্যালয়ে ঢুকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙ্চুর সহ, অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর জানান, নেতাকর্মী নিয়ে মহড়া দেয়ার সময় তর্কবিতর্ক ও এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সময় কয়েকটি বাড়ি ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের বিষয়টি আমার জানা নেই।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আকিবুল ইসলাম জানান,এ বিষয়ে সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশ ও থানা পুলিশ একত্রিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সহিংসতা এড়াতে এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঠিকানাঃ অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাউজিং নং – ১১১ (নিচ তলা), রোড নং-১১, ই-ব্লক, ইাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
কপিরাইট © ২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত