শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। স্থানীয় প্রভাবশালী বালুদস্যুরা নদীর তাওয়াকোচা,বালিজুরি, খাড়ামুড়া এলাকায় ১০/১৫টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রভাবশালী বালুখেকোরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা মুল্যের বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে দিনেরাতে চলছে বালু উত্তোলন। বালুখেকোদের থাবায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব আয় থেকে। জানা গেছে, প্রতিট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ /৩০ হাজার টাকা করে। এভাবে প্রতিদিন ৪০/৫০ ট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বালু উত্তোলনের বিষয়ে শ্যামলবাংলাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযানও পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এর পরেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছ ন। একদিকে চলছে অভিযান অপর দিকে চলছে বালু উত্তোলন। গত ৭ জুন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী আশরাফুল আলম রাসেল অভিযা পরিচালনা করে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করেন । পরে জব্দকৃত বালু ৬১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। উক্ত বালু পরিবহনের অযুহাতে বালুদস্যুরা আবারো বালু উত্তোলনে জরিয়ে পরেন। ১১ জুন মঙ্গলবার ভোরে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ ও ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেলের যৌথ উদ্যোগে সোমেশ্বরী নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তারা প্রায় ১৫টি বালু উত্তোলন যন্ত্র ধ্বংস করেন। বালু উত্তোলন যন্ত্র ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন পরিবেশ রক্ষায় জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।