ঢাকা: বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে বর্হিবিশ্বের সঙ্গে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করছিলেন মো. আব্দুর রহিম রাজকে (৩৮)। রাজধানীর নয়পল্টনের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ৩০ হাজার সিম কার্ডসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি উদ্ধারসহ রাজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নয়াপল্টনের আবাসিক ওই বাড়িতে সোমবার (১০ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে ৫১২ পোর্টের ৩টি সিমবক্স, ২৫৬ পোর্টের ৫টি সিমবক্স, ১২৮ পোর্টের ৫টি সিমবক্স, ১৬ পোর্টের ৩টি সিমবক্স, ৫টি ওয়ারলেস রাউটার, ৬টি স্যুইচ, ২৫টি জিএসএম অ্যান্টেনা, ৩টি মিনি পিসি, ৩টি মিডিয়া কনভার্টার, ১টি এসএসডি হার্ড ডিস্ক, ১টি ল্যাপটপ, ১টি সিপিইউ, ২টি পাওয়ার ক্যাবল, ২টি ইউএসবি ক্যাবল, ২টি চার্জার, ২টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার সিমকার্ড, ১টি মাইক্রোটিক রাউটার এবং ৫টি পেনড্রাইভ উদ্ধার করে র্যাব-৩।
উদ্ধার হওয়া এসব সরঞ্জামাদির কোনো বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম রাজ।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর বলেন, বিভিন্ন চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।
গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, কতিপয় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় একটি বাড়িতে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করে আসছে।
তিনি বলেন, আমরা সোমবার সকাল ১০টায় ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করি।
সেখান থেকে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আব্দুর রহিম রাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রাজ জানান, গত তিন বছর ধরে তিনি অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপন করে বহির্বিশ্বের সঙ্গে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করছিলেন। এতে করে সরকারকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ বেআইনিভাবে সংরক্ষণ করার কারণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধনী ২০১০) এর ৩৫(২)/৫৫(৭)/৭৩ ধারায় তিনি অপরাধ করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামির সঙ্গে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। জব্দ করা ভিওআইপি সরঞ্জামাদি আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।