স্টাফ রিপোর্টারঃ
একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কখন পাগলের মতো ভালোবাসে জানেন?
মজার মজার খাবার রান্না করলে?
দেখতে সুন্দরী হলে?
সন্তান জন্ম দিলে?
নাকি অন্যকিছু?
দাম্পত্য জীবনের সুখশান্তি প্রথমত সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা, অতঃপর স্ত্রীর হাতেই। একজন স্ত্রী চাইলে তার ঘরটাকে স্বর্গ/জান্নাত বানাতে পারে, আবার চাইলে এটাকে নরক/জাহান্নামেও পরিণত করতে পারে।
কীভাবে? টাকা দিয়ে? তা তো হতে পারে না। কেননা এমন অনেক চাকরিজীবী মহিলা আছে, যাদের জীবনে দুঃখ-দুর্দশার অন্ত নেই, যাদের স্বামী তাদের কাছে ভিড়তেই চায় না।
সন্তান জন্ম দিয়ে? না, তাও নয়। কারণ, অনেক নারী আছে, যাদের অনেক সন্তান আছে, কিন্তু স্বামী তাকে অপছন্দ করে। এমনকি মা হবার পরও বিবাহ বিচ্ছেদের নজির নেহাত কম নয়।
ভালো খাবার বানিয়ে? এটাও না, কারণ অনেক মেয়ে আছে যারা রান্নাবান্নায় বেশ পটু, অথচ স্বামীর দুর্ব্যবহারের শিকার হয়।
তাহলে আসল রহস্যটা কী?
আসল রহস্য হচ্ছে স্ত্রীর ভালো ব্যবহার। যখনই স্বামী রেগে যাবে, আপনি নীরবতা অবলম্বন করুন।
তবে ভুল করেও ভ্রুকুটি বা বিদ্রুপের দৃষ্টিতে চুপ করে থাকবেন না, কেননা পুরুষ মানুষ বাস্তববাদী হয়ে থাকে, সে আপনার চোখের ভাষা সহজেই বুঝে ফেলবে।
ওই সময় কখনো ঘর থেকে বের হয়ে যাবেন না। কারণ তখন আপনার স্বামী মনে করবে, আপনি তার কথায় বিরক্ত হচ্ছেন। আপনার উচিত চুপচাপ তার পাশে বসে থাকা এবং তার যৌক্তিক কথাগুলোতে সায় দেওয়া, যতক্ষণ না সে শান্ত হয়।
স্বামীর কথা শেষ হলে আপনি তার কাছে বলে ওখান থেকে উঠে চলে যান, আর আপন কাজে লেগে যান। কারণ চিৎকার করে সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
সাবধান! তার সাথে কথা বলা বন্ধ করবেন না বা তার থেকে দূরে থাকবেন না। এধরনের বদভ্যাস দুধারী তরবারির চেয়েও মারাত্মক। স্বামী যখন আপনার সাথে আপোষ করতে চায় তখন যদি আপনি তার কাছে না যান, তখন সে একা থাকায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে। কখনো কখনো এ অবস্থা তাকে প্রচন্ড জেদের দিকে ঠেলে দেবে।
ঘন্টাখানেক পর এক কাপ গরম চা নিয়ে তার কাছে যান, আর বলুন, নাও, চা খাও, তুমি খুব ক্লান্ত। এসময় তার সাথে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে কথা বলুন যেন কিছুই হয়নি। প্রায় একশো ভাগ ক্ষেত্রে সে তার দুর্ব্যবহারের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আপনাকে বলবে, রাগ করেছো? এরপর সে স্নেহ আর ভালোবাসার কথা শুনাবে।
আপনি তখন অবশ্যই তার কথা বিশ্বাস করুন। কারণ শান্ত থাকা অবস্থায় সে যা বলে তা বিশ্বাস না করে, রাগান্বিত অবস্থায় যা বলেছিল তা কেন বিশ্বাস করবেন? রেগে গেলে মানুষ ঝগড়ায় জেতার জন্য অনেক ভুলভাল কথা বলে যা সে হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় বলতো না।
প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব?
মনে রাখবেন আপনার প্রিয় মানুষটির সুখই আপনার ব্যক্তিত্ব। স্বামীর সাথে আপনার স্বচ্ছ সম্পর্কই আপনার ব্যক্তিত্ব। এর বাইরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যক্তিত্ব বলে কোনো কিছু থাকে না। যে মানুষটি আপনার জীবনের গোপনতম কথাটিও জানে, তার কাছে আবার কিসের ব্যক্তিত্ব?
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত