মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর থেকেঃ
শেরপুর বিদ্যুতের লোডশেডিং ও লোকবলের অভাবসহ নানা কারনে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
জানা গেছে, শেরপুর জেলাসদরসহ ৫ টি উপজেলায় ১ লাখের ও বেশি পিডিপি'র বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে।
এসব গ্রহকদের বিদ্যুৎ সেবা দিতে শেরপুর জেলা সদর সহ ৫ টি উপজেলায় ৫টি বিদ্যুৎ অফিস রয়েছে। জেলা সদর সহ নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের নিজস্ব ৩টি অফিস থাকলেও ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের নিজস্ব কোন অফিস ভবন নেই। ফলে ভাড়া নেয়া ঘরে চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের সকল কাজকর্ম। অফিসগুলোতে রয়েছে লোকবলের অভাব। বিদ্যুৎ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে লক্ষ্যাধিক গ্রাহককের সেবা দিতে যে পরিমানের লোকবল প্রয়োজন তার চারভাগের একভাগ লোকবলও নেই বিদ্যুৎ বিভাগে। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না বিদ্যুৎ গ্রাহকরা । লোকবলের অভাবে গ্রাহকদের মিটার না দেখেই বিল করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগকে । ঝিনাইগাতী উপজেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক একেএম সামেদুল হক বলেন প্রতিটি গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করার নিয়ম থাকলেও লোকবলের অভাবে তা করা সম্ভব হয় না। এতে প্রায় সময় অতিরিক্ত বিলের বুঝা বহন করতে হচ্ছে শতশত বিদ্যুৎ গ্রাহকদের । এনিয়ে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের সাথে বিদ্যুৎ কর্মচারীদের। উল্লেখ্য দেশের সর্বত্র সব বিভাগে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও শেরপুরে বিদ্যুৎ বিভাগে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। অভিযোগ রয়েছে বাঁশের খুঁটি ও রাস্তার পাশে গাছপালার সাথে তার ঝুলিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় প্রত্যান্তঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। জরাজীর্ণ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় আকাশে মেঘ জমলেই এখানে বিদ্যুৎ থাকে না। দুর্ঘটনা এড়াতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় বলে জানা গেছে। এরপরেও মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষ ও গরু মহিষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে অহরহ । জানা গেছে দুর্যোগ পুর্ণ আবহাওয়ায় প্রায় সময় রাস্তার দু্'পাশে গাছ ভেঙে পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। কিন্তু লোকবলের অভাবে দ্রুতগতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়ে উঠেনা। কোন কোন সময় ২- ১ দিন সময় লেগে যায় বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করতে। এসময় ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষতি সাধিত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। লোডশেডিং এর কথাতো বলাই বাহুল্য। গড়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০ ঘন্টাই থাকে লোডশেডিং। এতে কৃষি জমিতে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিল্প কারখানায় ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক মন্দাভাব দেখা দেয়। । স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাহাব উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,গড়ে জেলায় বিভিন্নস্থানে লোডশেডিং হয় ৪৫ ভাগ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি লাঘবে লোকবল বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত