ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রসহ বনের অভ্যন্তরে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কয়েক ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বন এলাকা।
রোববার (২৬ মে) দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটনকেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যায়। সাথে বড় বড় ঢেউ লক্ষ করা গেছে। তবে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের প্রাণী নিরাপদে রয়েছে।
এদিকে, সুন্দরবনের কটকা ও কচিকালী এলাকা প্রায় চার ফুট পানিতে তলিয়েছে। পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের দুবলার চরও। জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন উপকূলের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও চিংড়ি ঘের।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে জোয়ারে করমজলে স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই ভাবে সুন্দরবনের অন্য স্থানেও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে বনের অভ্যন্তরে পানি বেশি হলেও বন্যপ্রাণীর তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ের জন্য বনের ভেতরের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু টিলা তৈরি করে রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে বন্যপ্রাণীরা সেসব টিলায় আশ্রয় নিয়ে থাকে।
মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সব দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই ও খালাসসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে। জরুরী দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা করে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মাকরুজ্জামান এ তথ্য জানান।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত