স্টাফ রিপোর্টার, ঈদগাঁও
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এটি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এ রূপ নেয়। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ১৫ জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের আট বিভাগেই ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর সতর্কতা বিষয়ে কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এসময় পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুল ইসলাম,প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো মুজিবুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।এছাড়া ৮ হাজার ৬ শ' স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২ শ সিপিপি সদস্যসহ রেড ক্রিসেন্টের ১৮০ জন ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে । দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের ৪৮৬ মে.টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ২৩ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরির ৬৯ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হযেছে। গতকাল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কে চেয়ারম্যান করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া আশ্রয়ণ এবং মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত