বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর থেকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হুগলি গ্রামে নাদিম সরদারের (জহির) বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই নারীকে সেখানে বসে থাকতে দেখা গেছে।
নাদিম সরদার হুগলি গ্রামের বিল্লাল সরদারের ছেলে। ওই নারী কুড়িগ্রাম জেলার কবিরাজপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ওই নারী জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ফেসবুকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকার আজিমপুর এলাকার এক কাজীর মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। এরপর একাধিকবার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলেও থেকেছেন তারা। তবে বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন নাদিম। তাই গেল ঈদুল ফিতরের পরে নাদিমের বাড়িতে আসলে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আবার মোবাইলে কল দিলে রিসিভও করেন না নাদিম। এমনকি তিনি সম্পর্কও অস্বীকার করছেন। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে নাদিমের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে নাদিম সরদার মুঠোফোনে বলেন, তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। তবে তিনি আমার কাছে বয়স লুকিয়েছেন। তাই পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়। তিনি কেন আমার বাড়িতে এসেছেন জানি না। তিনি আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজিব ব্যাপারী জানান, ওই নারী দুপুরের পর থেকে ওই বাড়ির উঠানে বসে আছেন। গ্রামের লোকজন তাকে দেখতে ভিড় করছেন। কীভাবে এই নারীর সঙ্গে নাদিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে? শুনেছি আবার তাদের নাকি বিয়েও হয়েছে। বিয়ের পর ডিভোর্স হয়েছে শুনেছি। এতে গ্রামের সম্মানহানি হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দুইজনই প্রাপ্তবয়স্ক। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত