নীলফামারীর ডোমারে বিয়ের এক বছরের মাথায় একসাথে তিনজন ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক নববধূ। একসাথে তিন সন্তান জন্ম নেয়ায় আনন্দে ভাসছেন পরিবারসহ গোটা গ্রামবাসী। প্রতিদিন দলে দলে লোকজন যাচ্ছেন এক নজর দেখতে নবজাতকদের।
ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের বারবিশা বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক হাসিবুল ইসলামের একমাত্র ছেলে মুদি দোকানি সেলিম রেজার সাথে ডিমলা উপজেলার ঠাকুরগঞ্জ পাঠানপাড়া গ্রামের আফরোজা বেগমের বিয়ে হয় গত এক বছর আগে। বছর ঘুরতে না ঘুরতে আফরোজার কোল জুড়ে আসে একসাথে তিনটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। গত ২৯ এপ্রিল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে জন্ম দেন ৩টি ছেলে সন্তান। তিন সন্তানই সুস্থ রয়েছে। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শিশুদের দেখতে ওই বাড়িতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমেছে।
সোমবার ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি শিশুকে তিনজন কোলে নিয়ে বসে আছেন। একজন বড়মা হাজেরা বেগম, নানি জয়নাব বেগম এবং দাদি সেলিনা বেগম পাশে রয়েছেন ফুপু মুক্তা আকতার। সেখানে রয়েছেন একজন পুরুষ দর্শনার্থী। শিশু তিনটির নাম রাখা হয়েছে, আয়ান আরিয়ান, রাইয়ান রাজ এবং আদিল রাফসান।
ফুপু মুক্তা আকতার বলেন, শিশু তিনটিকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করতে ৪ থেকে ৫ জন নিযুক্ত রয়েছেন। আমরা ছাড়াও আমার মা, আমার বোন হাবিবা ও লাম্মি সার্বক্ষণিক রয়েছে। প্রতিবেশী অনেকেই উপযাচক হয়ে শিশুগুলোর যত্ন নিচ্ছেন।
সেলিম রেজার বাবা হাসিবুল বলেন, প্রতিদিন বিকেলে আশপাশের গ্রামের দলে দলে মহিলা দর্শনার্থী আসছেন বাচ্চাদের দেখতে। দর্শনার্থীদের আপ্যায়ন করা হচ্ছে গুয়া পান দিয়ে।
সেলিম রেজার মা সেলিনা বেগম জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে গুয়া কাটতে কাটতে হাতে ব্যথা ধরেছে। তিন নাতি এক সাথে পেয়ে আমরা খুবই খুশি এবং আনন্দিত।
সেলিম রেজা বলেন, আমার পরিবার খুবই আনন্দিত তবে তিনটি সন্তানকে দেখভাল করতে অনেক খরচ হচ্ছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিন শিশু জন্ম দেয়াড় কারণে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে পরিবারটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এমনটা হতে পারে। প্রসূতি ও শিশুরা সুস্থ আছেন এটা খুবই ভালো সংবাদ।