পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুলে প্রবেশের রাস্তার বেহাল দশা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীর
সকালের সূর্য্য ওঠার সাথে সাথেই শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের সবার প্রিয় বিদ্যালয়, ৬৯ নং হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইউনিয়নের অন্যান্য সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের থেকে এই বিদ্যালয়ের সুনাম, শিক্ষার মান ও কয় একবার খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ট বিদ্যালয় স্বীকৃতি প্রাপ্ত বিদ্যালয় হওয়ার কারনে আশেপাশের প্রায় প্রতিটা গ্রামের শিক্ষার্থীরাই এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। বর্তমানে প্রায় ৪৮১ শিক্ষার্থী নিয়মিত পাঠদান করে এই বিদ্যালয়টিতে। কিন্তু বিদ্যালয়ের একমাত্র প্রবেশ অভিমুখে রাস্তার বর্তমানে বেহাল দশা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এটাকে দেখে বোঝার উপায় নেয় রাস্তা না বালু রাখার কোন পরিত্যক্ত জায়গা, মানুষের চলাচলের উপযোগী রাস্তাটা এখন হাটু সমান বালু ছাড়া আর কিছুই নাই। উপস্থিত কিছু ব্যাক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন কিছু দিন আগেও এই রাস্তাটা দিয়ে ভালো ভাবেই যাতায়াত করা যেতো কিন্তু বর্তমানে রাস্তার কাজ না করে শুধু বালু ফেলাতে এখন হাটা তো যায়ই না কোন গাড়ী নিয়েও যাওয়া যায় না। স্কুলের সামনে থাকা ভ্রাম্যমান দোকানি বলেন, এই রাস্তাটা ছেলে মেয়েদের স্কুলসহ বাজারের মধ্যে খুব সহজেই যাওয়া যায়। তাই রাস্তাটা খুবই জরুরি। স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যাক্তি বলেন, আমরা শুনেছি রাস্তাটা হবে, বালুও ফেলা হয়েছিল রাস্তার কাজের জন্য। পরে আবার শুনি এই রাস্তার কাজ তরকারি বাজারে চলে গেছে। এখন কি হবে জানিনা, তবে রাস্তার এই বালুর জন্য আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।
কয়েকটি শিক্ষার্থীর অভিবাবকরা বলেন, বালুর রাস্তার জন্য আমাদের বাচ্চাদের স্কুলের ড্রেস প্রতিদিন নোংরা হচ্ছে এবং এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাওয়া আসা করাই ধুলাবালিতে তাদের ঠান্ডা সর্দি লেগেই আছে। এতে করে বাচ্চাদের সাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এখন রাস্তাটা খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে।
রাস্তার সমস্যা নিয়ে ৬৯ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউনুস আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, বর্তমানে রাস্তার এই বেহাল দশার কারনে আমাদের বিদ্যালয়ের বাচ্চারা খুব সমস্যায় পড়েছে, এছাড়াও এই রাস্তাটা নিয়ে আমাদের অভিভাবকদের সাথে মাঝে মাঝেই বাকবিতন্ডায় জরাতে হচ্ছে। তবে আমরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টা জানিয়েছি, তিনি রাস্তাটা করার ব্যাপারে আমাদের আশসস্ত করেছে।
হরিনারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান সম্রাট বলেন, রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ইতোমধ্যেই ওই রাস্তার বিষয়ে কাজ চলছে। প্রকল্প পাশ হলেই কাজ শুরু করব