ঈদগাঁওতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে
ঈদগাঁওতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড : চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
ঈদগাঁওতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে। এতে অফিসে সংরক্ষিত জমিজমার কাগজপত্র সহ প্রায় চার /পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে দাবি ভুক্তভোগীর। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ঐদিন বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ঈদগাঁও বাস স্টেশনের মোজাহের মার্কেট সংলগ্ন পেছনে অবস্থিত কয়েকটি রুমের একটি অফিসঘর এবং পূর্বপাশে স্থাপিত একাধিক বাথ রুম অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়। প্রায় দুইঘন্টা ব্যাপী আগুন জ্বলতে থাকে। মার্কেটের মালিক ও ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিউল আলম জানান, প্রতিদিনের মতো তাদের অফিসের স্টাফ জাবের ডিউটি শেষ করে মাগরিবের আগে নিজ বাড়িতে চলে যান। এরই পরপরই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। তাৎক্ষণিক তারা অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে পারেননি। প্রায় দুইঘণ্টা ব্যাপী অগ্নিকান্ডে তাদের অফিস ভবন ও সংলগ্ন টিনের বাথরুম গুলো পুড়ে যায়। তিনি আরো জানান,পুড়ে যাওয়া অফিসে জমির দলিল,খতিয়ানসহ সংশ্লিষ্ট মূল্যবান ও জরুরী অনেক কাগজপত্র ছিল। সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য তাদের নির্মিত বাথরুমগুলোও অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পায়নি। ঘটনার আধঘন্টা পর প্রথমে রামু এবং পরে চকরিয়া উপজেলা থেকে দমকল বাহিনী এসে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় অগ্নিনিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। অফিস ভবন তালা মারা ছিল। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কবির পুলিশ দল নিয়ে দূর্ঘটনাস্থলে যান। সচেতন মহলের মতে, ঈদগাঁও এখন প্রশাসনিক উপজেলা হলেও এখনো কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মিত হয়নি। সুদূর কক্সবাজার, রামু ও চকরিয়া থেকে দমকল বাহিনী আসতে আসতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।