বাড়ছে তিস্তার পানি, নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন লাখো মানুষ
লালমনিরহাটে বাড়ছে তিস্তার পানি। আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বন্যার। তিস্তাপাড়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে লাখো মানুষ। আংতঙ্কে অনেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিচ্ছে। বন্যা আতংঙ্কে চরাঞ্চলের লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে আসতে করা হচ্ছে মাইকিং। সতর্ক জারি করা হয়েছে তিস্তাপাড়ের ৫টি উপজেলায়।
জানা গেছে, ভারতের সিকিম বাধঁ ভেঙ্গে ধেয়ে আসছে তিস্তায় পানি। বিকেল ৫টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করায় জেলায় নিন্মঞ্চলগুলো তালিয়ে যাচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীর মহিষখোচা, চর গোবর্ধন, সদরের রাজপুর, গোকুন্ডা, খুনিয়াগাছ, বড়বাড়, কালীগঞ্জের কাকিনা, ভোটমারী, হাতিবান্ধার ডাউয়াবাড়ী, গড্রিমারী, বড় খাতাসহ অনেক এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে। বন্যার আতংঙ্কে অনেকে গরু, ছাগল ও জিনিষপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
মহিষখোচার ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক চৌধুরী জানান, তিস্তা এলাকায় লোকজনকে স্কুল ফ্লাট
সেন্টারে আসার জন্য বলা হয়েছে। অনেকে আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদে। খুনিয়াগাছ ইউপি চেয়ারম্যান
খায়রুজ্জামান বাদল জানালেন, তার এলাকায় মাইকিং করে চরের লোকজনদের নিরাপদস্থানে আনা হচ্ছে।
কালমাটির ৭০ বছরের বছিরন বেওয়া জানান, এ ভাবে মাইক দিয়ে ডাকায় আমার ভয় লাগে বানের পানি এবার মনে হয় জোরে আসবে। মহিষখোচার আক্কেল আলী মাস্টার জানান, গরু ছাগল নিয়ে স্কুল মাঠে আশ্রয় নিয়ে আছি তবে ভয় লাগছে। পাটিকাপাড়ার মোতাহার হোসেন জানান, নদী যে ভাবে ডাক দিচ্ছে তাতে গত বছর চেয়ে এবার বন্যা বেশি হবে। তিস্তাপাড়ে অনেকের মাঝে আতংঙ্ক ছড়িয়েছে বন্যার ক্ষতি নিয়ে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল রায় জানান, তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে রাতের পর বাড়বে তিস্তার পানি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলায় লোকজনদের নিরাপদস্থানে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে সর্তক রাখা হয়েছে। এছাড়া যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে।