লুটপাট ভাঙচুর গুলি বর্ষণের ঘটনায় কুষ্টিয়ায় চরমপন্থী নেতা লিফটনের ভয়ে আতংকিত ২০ টি পরিবার।
আবার অনেকেই হয়েছেন বাড়ি ছাড়া.
উজানগ্রাম ইউনিয়নের দুর্বাচারা এলাকায় আধিপত্য
বিস্তার নিয়ে গুলি বর্ষণ। হামলায় ভাংচুর, লুটপাট..
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দুর্বাচারা গ্রামে সশস্ত্র মহড়ার ও অর্ধশতাধিক গুলি বর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগীয় সামরিক শাখার প্রধান আব্দুল লতিফ লাট্টু বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাটও করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায, ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য আগ্নিয়াস্ত্রসহ দুর্বাচারা গ্রামে হামলা চালায় ও অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এ সময় তারা বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও দোকান ভাংচুর লুটপাট চালায়। ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন। একাধিক সূত্র জানায়, চরমপন্থী নেতা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও বাহিনী গোছাতে তৎপরতা দেখাচ্ছে এক সময়ের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি খুলনা বিভাগীয় সামরিক শাখার প্রধান আব্দুল লতিফ লাল্টু (৬৫)। পুলিশ সূত্র মতে জানা যায়, ওয়ারেন্টভুক্ত ও হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে লাট্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তিনি ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন। সেসময় চরমপন্থী বাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত ও গ্রামবাসীর মধ্যে ভীতি তৈরি করার জন্য হঠাৎ এলাকায় মহড়া দিয়ে আবার গা ঢাকা দিতেন। লাল্টু বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি খুলনা বিভাগীয় সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি চরমপন্থী সংগঠন শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলন ও গণমুক্তি ফৌজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা দোপের পাড়া গ্রামের মৃত তেজারত আলীর ছেলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, সম্প্রতি লাল্টু আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আগের মতো সন্ত্রাসী বাহিনী গোছাতে তৎপরতা দেখাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে গ্রামবাসীর মধ্যে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে লাট্টুর নেতৃত্বে জামশের আলী মাস্টার, মসব্যাপারী, হাতকাটা আরিফ, রতন শেখ, আব্দুল্লাহ, রাকিব শেখ, অপি, ইদ্রিস, ইনু পাকা, আজো, সাহেব আলী (মিস্ত্রি), ময়না সর্দার, হাবিবুর মোল্লা, জিল্লু মোল্লাসহ ২৫-৩০ জন দুর্বাচারা গ্রামে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গ্রামবাসী।
সবার আগে সব জায়গায় নবদেশ ২৪
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হোক আগামীর তরুন প্রজন্ম।