অচেতন করে কিশোরীকে ধ*র্ষণ
নরসিংদীর রায়পুরায় অচেতন করে এক কিশোরীকে ধ*র্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনারস্হল থেকে ধ*র্ষক নুর মোহাম্মদ এর মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়ের হাঁটুভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধ*র্ষণকারী হলেন, একই উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি (ইন্দিরাপাড়) গ্রামের মতিউর এর ছেলে নুর মোহাম্মদ ওরফে শুক্কুর (৩৫)। সে হাসনাবাদ বাজারের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার বাড়ি আদিয়াবাদ ইউনিয়নের পিপি নগর গ্রামে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে হাসনাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করি। আমার মেয়ে ও আয়েশা সহ কয়েকজন মিলে আমিরগঞ্জ ও নরসিংদী রেলস্টেশনে ফেরি করে ফুল বিক্রি করে থাকেন। আয়েশা ধ*র্ষক নুর মোহাম্মদের শ্যালিকা হওয়ার সুবাদে আমার মেয়েকে চিনতো।
প্রতিদিনের মত শনিবারও তারা ফুল বিক্রি করতে যায়।
নুর মোহাম্মদ তার শ্যালিকা আয়েশা ও আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে নেশা জাতীয় জুস খাইয়ে অচেতন করে ধ*র্ষণ করে। আয়েশার কথা অনুযায়ী এক আনসার সদস্য ও স্থানীয় লোকের সহতায় ভোর ৪টায় হাঁটুভাঙ্গা এলাকার এক বন্ধ কারখানার ভিতর থেকে বিবস্ত্র অবস্হায় তাকে উদ্ধার করে স্হানীয়দের সহায়তায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
রায়পুরা থানার পুলিশ হাসপাতালে এসে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি আরও বলেন, ধ*র্ষকের স্ত্রী ও মা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি ও মামলা মোকাদ্দমা না করে আপোষ মীমাংসা করার জন্য প্রস্তাব দেন। উদ্ধারকারী নুরুল ইসলাম কবির (কোম্পানি কমান্ডার আনসার ভিডিপি) জানান, গত শনিবার রাতে খানাবাড়ি রেলক্রসিং সংলগ্ন রানা বিল্ডার্সে ডিউটিরত অবস্হায় ভিকটিমের বাবা আমাকে বিষয়টি জানালে আয়েশার তথ্যের ভিত্তিতে হাঁটুভাঙা গ্রামে পরিত্যক্ত কারখানার ভিতর থেকে ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছিল।