চাকমা কর্তৃক বাঙালি কিশোরীকে ধ*র্ষণের প্রতিবাদে পিসিসিপি’র বিবৃতি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা কর্তৃক আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে সুনীল কুমার চাকমা কর্তৃক বাঙালি কিশোরীকে ধ*র্ষণের প্রতিবাদে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিবৃতিতে পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো: হাবীব আজম বলেন HBF সূত্র মতে জানা যায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ধামাইপাড়া জখখাবাজার এলাকায় গত (শনিবার) ২৩-শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় (৪৬) বছর বয়সী এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকমা বয়স্ক পুরুষ কর্তৃক জোরপূর্বক এক বাঙালি মুসলিম কিশোরী ধ*র্ষণের শিকার হয়।
চাকমা সম্প্রদায়ের এই ধ*র্ষকের নাম সুনীল কুমার চাকমা (৪৬); পিতার নাম দয়াধন চাকমা গ্রাম: ধামাইপাড়া, জুরাছড়ি।
ধ*র্ষণের শিকার বাঙালি কিশোরীর নাম রাবেয়া(ছদ্মনাম)(১৭) পিতা: আজগর (ছদ্মনাম) গ্রাম: হাসপাতাল এলাকা, জুরাছড়ি।
জখখাবাজার নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে এই ধ*র্ষণের ঘটনা ঘটে। ধ*র্ষিত কিশোরী শারিরীক অবস্থান ভালো নয়। তাকে জোরপূর্বক ধ*র্ষণ করা হয়। ঘটনার পর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জখখাবাজার আর্মি ক্যাম্প ধ*র্ষককে আটক করে জুরাছড়ি থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। অথচ উক্ত ধ*র্ষণের ঘটনা নিয়ে কারো কোন প্রতিবাদ না দেখে হাবীব আজম বলেন আমরা হতবাক হলাম।
বিবৃতিতে পিসিসিপি জেলা সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, উপরোক্ত ধ*র্ষণের ঘটনা উপজাতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকমা সম্প্রদায়ের একজন বয়স্ক পুরুষ কর্তৃক ঘটেছে। উক্ত ধ*র্ষণ ঘটনার নয় দিন অতিবাহিত হলেও এই নিয়ে ইউপিডিএফ-জেএসএস এর সহযোগী অঙ্গসংগঠন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীবাদী সংগঠন’, এবং দেশের নারীবাদী সংগঠন ও তথাকথিত সুশীল, বুদ্ধিজীবিদের বিবৃতি যেমন চোখে পড়েনি তেমনিই চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ করতে দেখা যায়নি। কারণ, ধ*র্ষক এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকমা সম্প্রদায়ের তাই এই নিয়ে কথা বলা যাবে না। যদি এই ক্ষেত্রে ভিকটিম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর ধ*র্ষক বাঙালি হতো তাহলে এই ধ*র্ষণ নিয়ে ধ*র্ষক তকমা দিয়ে বাঙালিদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে বিষয়টি সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়ে হীন স্বার্থ চরিতার্থে বিশেষ ফায়দা হাসিল করতো একশ্রেণীর উপজাতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কুচক্রী মহল।